#কলকাতা: রাত পোহালেই বাজারে বাজারে ১০০ মাইক্রোনের নীচে প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ৩০ জুন কলকাতা শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেল, দিব্যি রমরমিয়ে ব্যবহার হচ্ছে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ। শাকসবজি থেকে আরম্ভ করে মাছ মাংস,সবকিছুই হাতে ঝুলিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সবাই। ক্রেতারা বলছেন 'সরকার বন্ধ করবে,আর ব্যবহার করব না।'
বাজারের ব্যবসায়ীদের একটাই বক্তব্য,খরিদ্দাররা বাড়ি থেকে বাজার করবার জন্য হাতে করে ব্যাগ নিয়ে আসেন না। যার ফলে তাদেরকে এই ক্যারি ব্যাগ দিতেই হয়। যদি কাউকে প্লাস্টিকের ব্যাগ না দেওয়া যায় ,তাহলে সেই ক্রেতা অন্য দোকানে চলে যান। মোদ্দা কথা ফ্যাসাদে পড়েছেন দোকানদারেরা। মানিকতলা মাছ ব্যবসায়ীরা বললেন, তারা কাগজের ঠোঙ্গা,শালপাতা, যে কোনও কিছুই দিতে রাজি। কিন্তু খরিদ্দারদের সচেতন হতে হবে।
অমল গুহ নামে এক ভদ্রলোক বাজারে এসেছিলেন। তিনিও হাতে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগে সবজি এবং মাছ কিনে নিয়ে ফিরছিলেন। তিনি বললেন, প্লাস্টিক মাটিকে অনুর্বর করে তুলছে। প্লাস্টিক থেকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। প্লাস্টিক বন্ধ রাখা উচিত।
আরও পড়ুন- ঠিক কোন কারণে কিছু মানুষ একবারও করোনা আক্রান্ত হননি? কোন বৈশিষ্ট্য সুস্থ রেখেছে তাঁদের?আগে থেকে কেন বন্ধ করেননি ব্যবহার করা, জিজ্ঞাসা করতেই গুহ বাবু কিছুটা থমকে গিয়ে বলেন ,'আসলে আমি একা বন্ধ করলে কী হবে? সবাই যদি বন্ধ করে,তাহলে বন্ধ হয়ে যাবে।' অন্যদিকে বড়বাজার এলাকাতে যে সমস্ত প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের মার্চেন্ট রয়েছেন,তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।কারণ ১০০ মাইক্রোনের নীচে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের প্রচুর পরিমাণে মজুত রয়েছে তাঁদের। তাঁদের দাবি জেলাগুলিতে বেশ কয়েকদিন হল প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
কলকাতা এবং রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় ১লা জুলাই থেকে একেবারে নিষিদ্ধ। তবে এক মার্চেন্ট, রাফি সাহেব বলেন, 'নন ওভেন আইটেম বা কাপড়ের ও কাগজের ব্যাগ বাজারে চলে এসেছে। সেই ব্যাগ অনেকটা বেশি দাম পড়বে। ওই ব্যাগগুলি পরিবেশ বান্ধব। তবে বাঙালিকে যে আবার সেই সবজির ব্যাগ, মাছের ব্যাগ আলাদা করে বাজারে নিয়ে আসতে হবে এবং ভর্তি করে নিয়ে যেতে হবে, সেই দিন আবার শুরু হল।'
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।