#কলকাতা: 'কলকাতা শহরের যা ভৌগলিক অবস্থান তাতে জল জমা আটকানো সম্ভব নয় । কিন্তু আমরা এই বর্ষায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জল বের করে দেওয়া যায় তার সব রকম প্রস্তুতি নিচ্ছি' , দাবি কলকাতা পুরসভার প্রশাষক ফিরহাদ হাকিমের ।
প্রতিবছর বর্ষায় বানভাসি কলকাতার ছবি দেখা যায় উত্তর থেকে দক্ষিণ শহরের একাধিক এলাকায় । বহু এলাকায় কয়েক পশলা বৃষ্টিতেই হাঁটু জল ঠেলার দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে । বেহালা ঠাকুরপুকুর সহ বহু এলাকায় জল জমলে তা নামতে সপ্তাহ পেরিয়ে যায় । দু-সপ্তাহ আগে আমফান পরবর্তী কলকাতায় সেই জল ছবি ধরা পড়ে একাধিক জায়গায় ।
আজও বেহালা লাগোয়া কলকাতা পুরসভা এবং মহেশতলা পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে জল জমে রয়েছে । শহরের এই চেনা ছবি বদলাতে তৎপর পুরসভা। তাই কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমান প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম সরোজমিনে পরিদর্শনে যান আকরা, সন্তোষপুরের একাধিক এলাকায় । ওই সব এলাকার চোরিয়াল খাল, মনি খালের মতো বড় বড় খাল গুলোর ওপর নির্ভর করে কলকাতার একটি বড় এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা ।
দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠেছিল ওই খালগুলো দিয়ে জল বেরিয়ে গঙ্গায় পড়ছে না । বিভিন্ন এলাকায় খালগুলি সংস্কারের অভাবে মজে গিয়েছে । ফলে যে দ্রুততায় জল নেমে যাওয়ার কথা তা সম্ভব হচ্ছে না । প্রকৃত চিত্রটা কি তা দেখতে আজ সেখানে যান ফিরহাদ হাকিম । তিনি বলেন, 'কলকাতার দীর্ঘ দিনের জল জমার ইতিহাস রয়েছে । কিন্তু এখন পরিকাঠামো অনেক উন্নত হয়েছে । তা সত্ত্বেও কেন জল জমছে তা দেখতে এসেছিলাম । খালগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি । তার ওপর আমফানের দিন বহু জায়গায় খালের ওপর গাছ ভেঙে পড়েছে । সেইগুলো আমি বলেছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিষ্কার করতে হবে । খাল সংস্কারের বিষয়ে সেচ দপ্তরের সঙ্গে আমি কথা বলব । দুটো একটা জায়গা রয়েছে যেগুলো রেলের অধীনে পড়ে । সেখানে দীর্ঘদিন কাজ আটকে পড়ে রয়েছে । প্রশাসনিক স্তরে আমি চেষ্টা করব এই ধরনের যে জটিলতা গুলো রয়েছে তা দ্রুত মিটিয়ে ফেলতে ।' তিনি আরও বলেন, 'আজকাল অল্প সময়ের মধ্যে এত বেশি পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে যে জল জমবে । কিন্তু জমা যত দ্রুত নামিয়ে দেওয়া সম্ভব তার সব রকম চেষ্টা আমরা করছি ।'
SOUJAN MONDAL
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।