#কলকাতা: বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন অযোধ্যায় রাম মন্দিরের শিলান্যাস করছিলেন, ঠিক সেই সময়ই কলকাতার একটি মন্দিরে সাড়ম্বরে ভগবান রামের পুজো করা হল। তবে দক্ষিণ কলকাতার অরফ্যানগঞ্জ রোডের ওই রাম মন্দিরে দেখা গেল মূর্তির বদলে জলজ্যান্ত রাম-সীতার পুজো। উদ্যোক্তা বিজেপি নেতা রাকেশ সিং।
বুধবার সকাল থেকেই ওই রাম মন্দিরে পুজোর তোড়জোড় চলছিল। একদিকে পঞ্চম শ্রেণীর দুই পড়ুয়াকে রাম ও সীতা সাজানোর হচ্ছিল। অন্যদিকে পুজোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পুরোহিতরা। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের শিলার হতেই রীতিমতো বেলকাঠ ও ঘি দিয়ে যজ্ঞ করা হয় এই রাম মন্দিরে। সকলেই পুজো শেষে রাম সীতার পায়ে হাত দিয়ে নমস্কার করেন। আশীর্বাদ মেন।
পুজোয় ভগবান রামকে দেওয়ার জন্য ছাপ্পান্ন রকম ভোগের আয়োজন করা হয়েছিল। লাড্ডু, বোদে, মিষ্টি, আলুর দম, পোলাও থেকে শুরু করে সব ধরনের ভোজনের এলাহি আয়োজন ছিল। পুজোর পর আতশবাজি পুড়িয়ে আনন্দ উদযাপন করে ভক্তরা। পুজো চলাকালীন দশ থেকে বারো বছরের মধ্যে প্রায় জনাকুড়ি কচিকাঁচা দর্শক হিসেবে উপস্থিত ছিল। সামাজিক দূরত্ব মেনে তাদের রাম পুজো দেখানো হয়। এছাড়া পুজোয় অংশ নেওয়া প্রত্যেকেই কোভিদ বিধি মেনেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিজেপি নেতা রাকেশ বলেন, "৫০০ বছর পর আজ হিন্দুদের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। সেজন্য আজ প্রত্যেক হিন্দুর কাছে আনন্দের দিন। তাই মূর্তির এখানে আমরা জলজ্যান্ত মানুষকে রাম ঠাকুর হিসেবে পুজো করছি। তার ভোগের জন্য ৫৬ রকম পদের আয়োজন করা হয়েছে।" রামপুজোয় হাজির শিশুদের মুখেও শোনা কে 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান। রাকেশ বলেন, "এখানে শিশুদের নিয়ে এসেছি তার কারণ এটা ঐতিহাসিক দিন। আগামী প্রজন্ম যাতে দিনটিকে স্মরণ করে রাখে ও হিন্দু ধর্মের সংজ্ঞা বুঝতে পারে সে জন্যই এরকম আয়োজন।"
যদিও রাকেশের এই রাম পুজোর জন্য কড়া পুলিশি বন্দোবস্ত ছিল কোনও রকম অশান্তি যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য পুলিশ প্রস্তুতও ছিল। যদিও পুজোর পরে পুলিশের তরফে ভিডিওগ্রাফি করতে দেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন রাকেশ ও তার অনুগামীরা। পরবর্তীতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সুজয় পাল