#কলকাতা: শহরে মাদক উদ্ধার নতুন নয়, তবে ভোরের দিকে মাদক পাচারের পরিকল্পনা অনেকটাই অবাক করেছে গোয়েন্দাদের। মাদক উদ্ধারের সঙ্গে উদ্ধার হল একটি ছুড়িl কেন ছুড়ি ব্যবহার হচ্ছিল পাচারের সময়, তা নিয়েও গোয়েন্দাদের একাধিক প্রশ্ন। বৃহস্পতিবার সকাল ৪টে ১৫ মিনিটে হাতেনাতে কলকাতা পুলিশের টাস্ক ফোর্সের হাতে গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত।
রাতের অন্ধকার শেষ করে ভোরের আলো ফোটার আগেই মাদক কোথায় যাচ্ছিল, তার সন্ধান করছে গোয়েন্দারা। শহরের তুলনামূলক নির্জন জায়গা বেছে নিয়েছিল মাদক পাচারকারীরা। শহরের শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে এজেসি বোস রোডের নিস্তব্ধতাকে কাজে লাগিয়ে মাদক পাচারের ছক কষেছিল পাচারকারীরা বলে অনুমান কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের। ডামিন মার্টিন ও ধনেশ্বর ঝাঁ নামে দুই অভিযুক্তকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে গোয়েন্দারা। কলকাতা শহরের তালতলা থানা এলাকার এজেসি বোস রোড়ে অভিযান চালায় পুলিশ। জোড়া গির্জার সামনে থেকে দুই মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করে এসটিএফ অফিসাররা।
জানা যায়, ধৃতরা পার্ক স্ট্রিট ও তিলজলা থানা এলাকার বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে ১৭ গ্রাম MDMA ট্যাবলেট ও ধারাল অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুই মাদক পাচারকারীদের আটক করতেই উদ্ধার হয় মাদক ও অস্ত্র। দুই অভিযুক্তকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের কর্তারা। তাঁরা পৌঁছতে চান এই রহস্যের গভীরে , জানতে চান অভিযুক্তের চক্রের হদিস, এত ভোরে কোথায় যাচ্ছিল অভিযুক্তরা? কাদের নির্দেশে এই কাজ হত? কতদিন ধরে চলছিল কারবার? ধারাল অস্ত্র নিয়ে মাদক পাচারের উদ্দেশ্য কি? অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে সব তথ্য জানতে চায় স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। গোয়েন্দাদের মতে, মাদক পাচারকারীদের থেকে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি যথেষ্ট ভাবিয়েছে। মাদক পাচারের সময় কোনও ব্যাক্তি বাধা দিলে, ভয় দেখানোর জন্য ধারাল অস্ত্র ব্যবহার হত কিনা, তাও জানতে চায় স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।
SUSOBHAN BHATTACHARYA
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kolkata