#কলকাতা: কোভিশিল্ড নয়৷ কসবা ভুয়ো টিকাকরণ শিবিরে সম্ভবত করোনার টিকার নামে বিসিজি বা হামের ভ্যাকসিন অথবা নেহাতই কোনও পাউডার গোলা জল পেয়েছেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী থেকে শুরু করে অন্যান্য সাধারণ মানুষ৷ এ দিনই এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে কলকাতা পুরসভা৷ ভুয়ো ক্যাম্পে যে টিকা দেওয়া হয়েছিল, তার নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ৷
পুরসভার চিকিৎসক রনিতা সেনগুপ্ত এ দিন জানিয়েছেন, কসবার ওই ক্যাম্পে যে টিকা দেওয়া হয় তার ভায়ালগুলিতে কোভিশিল্ড-এর নাম লেখা থাকলেও ম্যানুফ্যাকচারিং, এক্সপায়ারি ডেট ছিল না৷ ছিল না ব্যাচ নম্বর বা উৎপাদনকারী সংস্থার নামও৷ শুধু তাই নয়, কোভিশিল্ড-এর আসল ভায়ালের তুলনায় এগুলি আকারেও ছোট ছিল৷ রনিতাদেবী বলেন, 'এই ভায়ালগুলির গায়ে লেখা ছিল কোভিশিল্ড রিকম্বিন্যান্ট ভ্যাকসিন৷ রিকম্বিন্যান্ট ভ্যাকসিন মানে কোনও পাউডার বা ডাস্ট-এর সঙ্গে ডিসটিল্ড ওয়াটার বা তরল ঝাঁকিয়ে যে ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়৷ কোভিশিল্ড এই ধরনের ভ্যাকসিন নয়৷ ' পুরকর্তাদের সন্দেহ হাম বা বিসিজি-র টিকাও দেওয়া হতে পারে কসবার ভুয়ো টিকাকরণ ক্যাম্পে৷
যদিও এই ভুয়ো ক্যাম্পের দায় নিতে অস্বীকার করেছে কলকাতা পুরসভা৷ কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষের দাবি, কলকাতায় কোথাও টিকাকরণের ক্যাম্প করতে গেলে পুরসভার অনুমতি নিতে হবে এ রকম কোনও নিয়মই নেই৷ বরং এই ধরনের ভুয়ো ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য মানুষের অসচেতনতাকেই দায়ী করেছেন তিনি৷ অতীন বাবু বলেন, 'কেউ যদি একটা ঘরের মধ্যে পুরসভার বোর্ড লাগিয়ে ক্যাম্প চালায় আমরা কী করে তা জানব? ওখানে বহু উচ্চশিক্ষিত মানুষ গিয়েও টিকা নিয়েছেন৷ টিকা নিলে এসএমএস, সার্টিফিকেট আসার কথা৷ তা না পেয়েও কারও মনে সন্দেহ হয়নি৷ সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর সন্দেহ হওয়াতেই আমরা গোটা বিষয়টি জানতে পেরেছি৷'
প্রসঙ্গত কসবার ওই ক্যাম্প থেকেই টিকা নেন অভিনেত্রী এবং সাংসদ মিমি চক্রবর্তী৷ টিকা নেওয়ার পর সন্দেহ হওয়ায় তিনিই প্রথম বিষয়টি পুলিশের নজরে আনেন৷ গোটা ঘটনার পিছনে ছিল দেবাঞ্জন দেব নামে এক ব্যক্তি৷ সে ভুয়ো আইএএস অফিসারের পরিচয়ে ওই ক্যাম্প চালাচ্ছিল৷ অভিয অতীনবাবু জানিয়েছেন, এ দিন পুরসভার পক্ষ থেকে একটি দল কসবা এলাকায় গিয়ে যাঁরা ভুয়ো ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছেন সেরকম ৭০ জনের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ কিন্তু কারও শরীরেই এখনও পর্যন্ত সেভাবে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলেই দাবি করেছেন অতীনবাবু৷ কয়েকজন জ্বর, মাথা ব্যথার সমস্যার কথা জানালেও তা আদতে ভুয়ো টিকার আতঙ্ক থেকেই বলা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন অতীন ঘোষ৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।