কলকাতা : ২১-এর সমাবেশ শেষে একঘন্টায় পুরোপুরি সাফ করা হবে ধর্মতলার সভাস্থল । এটাই চ্যালেঞ্জ কলকাতা পুরসভার। আজকের সমাবেশ একদিকে কলকাতা পুলিশ ও কলকাতার পুরসভার কাছে চ্যালেঞ্জেরও বটে । করোনা ভাইরাসের জেরে দু’বছর তৃণমূলের শহিদ দিবস উদযাপন হয়েছিল ভার্চুয়াল। হয়নি ধর্মতলার সমাবেশ। দুবছর পরে জন প্লাবন হয়েছে এই সমাবেশে।
বিপুল জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে কোমর বেঁধে নেমেছে পুলিশ। তাদের জন্য পানীয় জল, স্বাস্থ্য শিবির, অ্যাম্বুল্যান্স, থেকে শুরু করে সভাস্থলের জঞ্জাল সাফাই বা শৌচালয়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা-সব কিছুর দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা পুরসভার। এদিন সব পরিষেবা সঠিক ভাবে দেওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে । তবে কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষের দাবি, সমাবেশ শেষে মূল সভাস্থল আধ ঘণ্টার মধ্যে পরিষ্কার করা হয়ে যাবে । মূল সভাস্থল সংলগ্ন রাজপথ ও পরিচ্ছন্ন করা হবে ঘন্টাখানেকের মধ্যে ।
সমাবেশ ঘিরে কলকাতা পুরসভার কর্মকাণ্ড
কলকাতা পুরসভার সূত্রে খবর, ধর্মতলার যে সমস্ত সুলভ শৌচালয় আছে, তা ছাড়াও বসানো হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী শৌচালয় । থাকছে বায়ো টয়লেট । শিয়ালদহ স্টেশন বা এসএন ব্যানার্জি রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ বা ময়দান, পার্ক স্ট্রিট এলাকা লাগোয়া থাকবে একাধিক পানীয় জলের গাড়ি। সমাবেশ স্থল পরিষ্কার করে আশপাশের চত্ত্বরে ছড়ানো হয়েছে চুন, ব্লিচিং। প্রত্যেক রাস্তায় নির্দিষ্ট দূরত্বে রাখা রয়েছে জঞ্জাল ফেলার পাত্র। গোটা মঞ্চ থেকে শুরু করে আশেপাশের এলাকা কঠিন বর্জ্য বিভাগের তরফে জীবাণুমুক্ত করা হবে সমাবেশের পরও।
আরও পড়ুন : সমাবেশের পথে বর্ণময় জনজোয়ার, ছবিতে দেখুন ২১ জুলাইয়ের কলকাতাকে
এর পরেও থাকছেন প্রায় এক হাজারের উপর জঞ্জাল সাফাই বিভাগের ১০০ দিনের প্রকল্পের কর্মীরা। সমাবেশ স্থল থেকে ভিড় কমতে শুরু করলেই শুরু হবে সাফাই অভিযান। শুধু ধর্মতলা নয়, ময়দান, পার্কস্ট্রিট, এজেসি বসু রোড, সিআইটি বা বিধান সরণি-সহ আশপাশের সব এলাকায় নামবে সাফাইবাহিনী । সমাবেশে আগত জনতার ফেলে যাওয়া আবর্জনা ছোট ছোট ব্যাটারি চালিত গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হবে স্থানীয় কম্প্যাক্টর স্টেশনে। সেখান থেকে বড় ট্রাকে নিয়ম মাফিক ধাপায়।
আরও পড়ুন : বাহন-ট্যাবলো থেকে কাঁসরবাদ্য, একুশের সমাবেশ জুড়ে রঙিন আবেগ, দেখুন ছবিতে
এই সমস্ত কর্মকাণ্ড শেষ করে রাজপথকে ফের পুরনো চেহারায় ফেরাতে সময় লাগবে ঘন্টাখানেক। বলছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার।
স্বপন সমাদ্দার বলেন, ‘‘কলকাতা শহরে প্রতিবছর ২১ জুলাই সমাবেশ হয়। কলকাতায় এত মানুষ এলে পুরসভার পরিষেবার দায়িত্ব থাকে। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশ অনুসারে সবটা করছি। কোনও আবর্জনা যাতে রাস্তায় না থাকে, তা দেখা হবে। স্বাস্থ্য শিবির, অ্যাম্বুল্যান্স আছে।’’ শুধু ২১ জুলাই নয় ৷ সব রাজনৈতিক দলের বড় সমাবেশেই কলকাতা পুরসভা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: 21 July Rally, KMC, TMC