#কলকাতা: বাড়ছে করোনা, ছড়াচ্ছে উদ্বেগ। অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হবে না তো আবার? এরকম নানান প্রশ্নের মাঝে কলকাতা পুরসভায় অ্যাম্বুল্যান্স সমস্যার সমাধান করলেন চেয়ারপার্সন মালা রায়। এবার থেকে আর অ্যাম্বুল্যান্স পেতে অসুবিধা হবে না কলকাতাবাসীর।
করোনা পর্বে অ্যাম্বুল্যান্স-এর হাহাকার দেখেছে রাজ্যবাসী। কলকাতাতে অবস্থা চরমে পৌঁছেছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিল গোটা দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কঙ্কালসার চেহারা। বেড থেকে ওষুধ, অ্যাম্বুল্যান্স থেকে শববাহী গাড়ি, সবেতেই ছিল হাউজফুল বোর্ড।
বেসরকারি দু এক জায়গাতে অ্যাম্বুল্যান্সের সন্ধান মিললেও তা আকাশ ছোঁয়া দাম। দুই থেকে তিন কিলোমিটার পথ যেতেই চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। মৃত্যুর পরেও নিস্তার নেই। শববাহী জানেও কোনও রেয়াত করেনি কেউ। যে যেমন পেরেছে, দাম হাঁকিয়েছে।
নামমাত্র দামের জ্বরের ওষুধ অমিল, নইলে আকাশছোঁয়া দামে কিনতে হয়েছে। তেমনই অ্যাম্বুল্যান্স বা শববাহী যানের ভাড়া গুনতে গিয়ে নিঃস্ব হওয়ার জোগাড় হয়েছিলেন কলকাতার নাগরিকরা। কলকাতা পুরসভার অ্যাম্বুল্যান্স ছিল হাতেগোনা, আর তা দিয়ে দিনভর চালিয়েও পরিস্থিতি আয়ত্বে আনা যায়নি।
এমন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার করোনা পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই উদ্যোগ নিলেন কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায় । তিনি দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদও বটে। অ্যাম্বুল্যান্স বা শববাহি গাড়ি পেতে যাতে মানুষকে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়, তাই দক্ষিণ কলকাতার সংসদ ও কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায় ইতিবাচক পদক্ষেপ করেছেন। তাঁর সংসদ তহবিলের টাকায় কলকাতা পুরসভাকে ৮ টি আধুনিক মানের অ্যাম্বুল্যান্স দান করেছেন। কলকাতা পুরসভায় ৫টি শবদেহ নিয়ে যাওয়ার গাড়িও দিয়েছেন মালা রায়। এই অ্যাম্বুল্যান্সগুলি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং এই যানে অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে অ্যাম্বুল্যান্স ছিল ১০ টি। সেগুলি খুবই পুরোনো টেকনোলজির। সঙ্গে চেয়ারপারসন মালা রায়ের দেওয়া ৮ টি নতুন প্রযুক্তির এম্বুল্যান্স পাওয়াতে মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮ টি। অন্য দিকে শববাহী গাড়ির সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ টি। ৫ টি নতুন পাওয়াতে বেড়ে হল ৮ টি।
কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায় বলেন, '' গত দু বছর ধরে অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে বহু রোগীকে দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। প্রাইভেটে অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে যেতে হয়েছে। সৎকার করা নিয়েও দিনে ফোন করলে রাতে গাড়ি এসেছে। অ্যাম্বুলেন্স ও শববাহী গাড়ি পাওয়ার ফলে সমস্যার সমাধান করা যাবে। আমরা কেউ চাই না কোরোনার সেই আতঙ্কের পরিস্থিতি ফিরে আসুক। প্রস্তুতি নিতেই এই ব্যবস্থা।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া খুব কম করে দু ঘণ্টার জন্য ২০০ টাকা। অতিরিক্ত প্রতিঘণ্টায় ৫০ টাকা। যে-কোনও বেসরকারি জায়গার থেকে এই অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া অনেকটাই কম। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোলরুমে ফোন করলেই মিলবে এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য। পুরসভার কন্ট্রোল রুম নাম্বার গুলি হল (033) 2286-1212/2286-1313/2286/1414
করোনার চতুর্থ দফা শুরু হোক বা না হোক। করোনা বাড়লেই পরিষেবা দিতে প্রস্তুত কলকাতা পুরসভা। এখন তাদের শক্তি প্রায় দ্বিগুণ। শুধু মানব জাতির জন্য নয়, পশুদের জন্যও ভেবেছেন কলকাতা পুরসভার চেয়ারম্যান ও সাংসদ মালা রায়। অসুস্থ কুকুরকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৫ টি আলাদা পশুদের অ্যাম্বুল্যান্স দিয়েছেন তিনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: KMC