#কলকাতা: কাশীপুরে রতন বাবুর ঘাটে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পুনর্বাসন দেবে রাজ্য পরিবহন দফতর। বিকল্প জমি পেলে সেখানে বাড়ি তৈরির টাকা দেবে পরিবহন দফতর। আজ কলকাতা পুরসভায় এ কথা জানান মেয়র তথা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ডেপুটি মেয়র তথা কাশিপুর বেলগাছিয়ার বিধায়ক অতীন ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কার্তিক চন্দ্র মান্না। ক্ষতিগ্রস্ত ধ্বস প্রবন এলাকা এবং গঙ্গার ঘাট পরিদর্শন করেন অতীন ঘোষ। এরপর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে পুনর্বাসন নিয়ে কথা বলেন এবং উদ্বিগ্ন বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেন।
বুধবার বিকেলে কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদ বৈঠকে রতন বাবুর ঘাটের বিস্তারিত তথ্য মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে দেন অতীন ঘোষ। এরপরই মেয়র তথা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, রতন বাবুর ঘাটের দশটি পরিবারই বিপদজনক অবস্থায় বাস করছেন। তাদেরকে ইতিমধ্যেই স্কুলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে বাস করা নিরাপদ নয়। বিকল্প জমি পেলে তাদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেবে পরিবহন দফতর। এর আগে ঘটনাস্থলে গিয়ে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বাস দেন স্কুল চালু হলেও কোন অসুবিধায় পড়তে হবে না ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে। দশ'টি পরিবারের প্রায় ৫০ জন মানুষ স্কুলবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। স্কুল চালু হলে তার পরিবর্তে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের কমিউনিটি হলে রাখার ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।
আরও পড়ুন: বিশ্বজনীন দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু! কলকাতার উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিমে কোথায় কী হচ্ছে?
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, এই এলাকায় দীর্ঘদিনের নিকাশি পাইপ লাইন রয়েছে। জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশে সেই পাইপ লাইন দিয়ে শহরের জল নিকাশের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু বর্ষার জমা জল সরাতে স্থানীয় বাসিন্দারা সেই বাধা খুলে দেন। নিকাশি নালার মুখের প্রাচীর খুলে যেতেই আবার নিকাশি নালার দিয়ে জল ঢুকতে থাকে। সম্প্রতি গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে নিকাশি নালা বন্ধ রাখা হলেও সেই জল কোথাও চুঁইয়ে পড়ে এই ধস হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে ইঞ্জিনিয়াররা। পাশাপাশি পরিবহন দফতরের জেটি তৈরির কাজ চলছে। সেখানেও বড় বড় লোহার বিম পাইলিং করে বসানো হচ্ছে। সেই কারণে কম্পন থেকে এই ধস নামতে পারে বলেও অনুমান। কী কারণে ধস নেমেছে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পাশে পুরসভা ও রাজ্য সরকার রয়েছে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: পাভলভের 'অমানবিক' কাণ্ডের জের, 'মেন্টাল হেলথ' নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের!
ইতিমধ্যেই রতন বাবুর ঘাট সংলগ্ন রাজবাড়ীর বাগানে আরও একটি ধস নজরে এসেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। কলকাতা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কার্তিক চন্দ্র মান্না জানান, রতন বাবুর ঘাটে ধসের ১২-১৫ দিন আগেই এই ধসটি রয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তবুও এই ধসের প্রকৃতি দেখতে এলাকা পরিদর্শন করবে পুরসভার প্রতিনিধিদল। গঙ্গায় নতুন করে কলকাতার দিকে ভাঙন শুরু হল কিনা সেটাই এখন মাথা ব্যথার কারণ কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষের।
BISWAJIT SAHAনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kolkata