#কলকাতা: কড়েয়া থেকেই প্রথম উঠেছিল প্লাস্টিক ডিমের অভিযোগ ৷ তিলজলার বাসিন্দা অনিতা কুমারের অভিযোগ পেয়েই ‘ডিম কাণ্ডে’ তড়িঘড়ি তদন্তে নামে পুলিশ এবং পুরসভার খাদ্য বিভাগ। ছড়িয়ে পড়ে প্লাস্টিক ডিম আতঙ্ক ৷ সেই ডিমের নমুনা পরীক্ষা করে প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরের রিপোর্ট, ডিমগুলি নকল নয়, পচা ছিল। পরীক্ষার রিপোর্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চকে ও পুরসভাতেও পাঠানো হয়েছে ।
ডিম নিয়ে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। কেননা পরীক্ষা করে এখনও পর্যন্ত খারাপ কিছু পাওয়া যায়নি। রাজ্যের সাধারণ মানুষকে আশ্বাস দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যে উৎপাদিত ডিম নিরাপদ। তবে বাইরের রাজ্য থেকে আমদানি করা ডিমের উপর নজর রাখবে সরকার। ডিম নিয়ে প্রাণী সম্পদ দফতরের স্পষ্ট জবাব, প্লাস্টিকের নয়, ওই ডিম পচা ছিল।
মেয়ে ডিম খেতে ভালোবাসে ৷ তাই ডিম আনতে এলাকার এক দোকানে গিয়েছিলেন কড়েয়া থানা এলাকার গৃহবধূ অনিতা কুমার ৷ দোকান থেকে অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে কিনে নিয়ে এসেছিলেন প্রায় একডজন ডিম ৷ মেয়ের বায়না ওমলেট তৈরি করতে হবে৷ অনিতাও রান্না ঘরে গিয়ে শুরু করলেন ওমলেট তৈরির প্রস্তুতি ৷ কিন্তু একী ! ডিম ভাঙতেই ভিতর থেকে তরল প্লাস্টিকের মতো জিনিস বেরিয়ে আসে বলে জানান অনিতা ৷
অনিতা দেবী আরও জানিয়েছেন, ‘ডিম ভেঙে কড়াতেই দিতেই প্লাসটিক পোড়া গন্ধ ৷ কুসুমটা দেখতেও তরল প্লাস্টিকের মতো ৷ তখনই সন্দেহ হয়, এই ডিম নিশ্চয়ই প্লাসটিকের ৷ সঙ্গে সঙ্গে পুরো ঘটনাটি নিয়ে কড়েয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করি ৷ ’
অনিতা দেবীর অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে কড়েয়া থানা ডিমটি পরীক্ষার জন্য পাঠায় খাদ্য দফতরে ৷ সেই নমুনা পরীক্ষার পরই এল এদিনের রিপোর্ট ৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kareya Plastic Egg, Plastic Egg, Report on Plastic Egg