#কলকাতা: গত কয়েকদিনে একটা দেশের কোটি কোটি মানুষের দেশ ছেড়ে পালানোর হিড়িক চলছে। যে দেশে যমদূত এর থেকেও ভয়ঙ্কর ভাবে ভয় করে তালিবানদের।আর সেই দেশে একা একটি বাঙালি মেয়ে, ১৯৮৬ সালে আফগানিস্তানে গজনি,পাতিয়ারে গিয়ে তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়ে ছিলেন।সে আজ নেই।আফগানিস্তানের, পাতিয়ার মাটির তলায় সমাধিতে শুয়ে রয়েছে। তিনি আর কেউ নন, সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাগুইহাটির মেয়ে।মন দিয়ে ভালোবেসে ছিলেন কাবুলিওয়ালা জানবাজ খানকে। বাড়ির অমতে বিয়ে করে কাবুল চলে যাওয়ার পথে, দিল্লি থেকে বাড়িতে জানিয়েছিলেন তিনি শ্বশুরবাড়ি আফগানিস্থানে চলে যাচ্ছেন। তারপর একটা বড় কাহিনী। সেই কাহিনী বেশ কিছুটা স্মৃতি রোমন্থন করছিলেন সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১৩ সালের ৭ অগস্ট সুস্মিতা শেষবারের মতো শ্বশুরবাড়ি পাতিয়ারে গেছিলেন। গোপালবাবু সে সময় দিদিকে বারবার যেতে বারণ করেছিলেন।সুস্মিতা দেবী বলেছিলেন তার আরেকটি বই লেখার কাজ প্রায় হয়ে গেছে।ওই বার কাবুলে থেকে ফিরে এসে আর যাবেন না। ওই বছরই ৫ আগস্ট ফেরার কথা ছিল, ৪ অগস্ট রাতে তালিবানরা তাঁকে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সামনে নির্বিচারে গুলি করে মেরেছিল।
গোপাল বাবু বলছিলেন, তালিবানরা হঠাৎ করে বাড়ির মধ্যে ঢুকে আসে।মহিলারা যদি মাথার চুল কাটে কিংবা চোখ বাদে শরীরের কোন অংশ দেখা যায়, তাহলে তাঁকে চরম শাস্তি দিত তালিবানরা। এছাড়াও তালিবান জঙ্গিরা যে কোনো সময় বাড়িতে ঢুকে খাবার চাইত। না দিতে পারলে চরম অত্যাচার করত। এসব সুস্মিতা দেবীর কাছ থেকেই গোপাল বাবুর শোনা।সুস্মিতা দেবী ওখানে স্বাস্থ্য কর্মী হিসাবে কাজ করার সময়, মহিলাদের নিয়ে তিনি আন্দোলন শুরু করেছিলেন। তারই আক্রোশ গিয়ে পড়েছিল ওঁর ওপর। সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের জীবন দিয়ে আফগানিস্তানে মেয়েদের অধিকার, শিক্ষা সহ নানা বিষয়ে লড়াই করেছিলেন। সেই লড়াইয়ের শেষ অবধি তিনি পৌঁছতে পারেননি। তবে বিশ্বের কাছে তালিবানদের অত্যাচার তুলে ধরেছিলেন সুস্মিতা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।