হোম /খবর /কলকাতা /
'....শিক্ষামন্ত্রীকে এজলাসে ডেকে পাঠাব', কেন আবারও তোপ দাগলেন বিচারপতি

'....শিক্ষামন্ত্রীকে এজলাসে ডেকে পাঠাব', কেন আবারও তোপ দাগলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়?

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, আবেদনকারী ৯ শিক্ষকের OMR শিট খতিয়ে দেখার জন্য বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর সেই বৈঠক করতে হবে ২১ ডিসেম্বর মধ্যে।

  • Share this:

#কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আবারও পর্ষদের বিরুদ্ধে ফের কড়া মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। 'আদালত একটা অতিরিক্ত শব্দও লিখবে না বোর্ডের জন্য। যদি এরপরেও জোড়াজুড়ি করেন শিক্ষামন্ত্রীকে এজলাসে ডেকে পাঠাব।' এদিন নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এই কথা বলেন বিচারপতি।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত নভেম্বরেই নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক পদে ১৮৩ জনের চাকরির সুপারিশ বাতিল করেছে এসএসসি। কিন্তু, এঁদের মধ্যে ৮১ জন চাকরি করছেন এখনও। নিয়মিত বেতনও তুলছেন বলে অভিযোগ। তাঁদের মধ্যে ৯ জন আদালতে ফের আবেদনও করেন। এই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগপত্র বাতিলের জন্য আদালতের কাছে নির্দেশ প্রার্থনা করেছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আইনজীবী। এঁদের সুপারিশ বাতিল প্রসঙ্গে এসএসসি জানায়, রাঙ্ক জাম্প করে ভুল করে তাঁদের চাকরির সুপারিশ করা হয়েছে, তাই ১৮৩ জনের সুপারিশ বাতিল করেছে তারা।

আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর জন্মদিনে উত্তরীয় পরিয়ে, শুভেচ্ছা বিনিময়ে দিলীপ-শুভেন্দু-সুকান্তকে ঐক্যের বার্তা

সূত্রের খবর, দেখা গিয়েছে, জীবন বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক পূর্বিতা রায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৬২ (১৮৩ জনের তালিকায় যাঁর চাকরির সুপারিশ বাতিল করেছে এসএসসি)। সূত্রের খবর, আরও একাধিক পরীক্ষার্থী রয়েছেন, যাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৬২। এমনকি, ৬২.৩৩ বা তার বেশি নম্বরও রয়েছে অনেকের। তাঁরা কেন সুপারিশ পেলেন না? সেই প্রশ্ন ওঠে আদালতে।

এরপরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, আবেদনকারী ৯ শিক্ষকের OMR শিট খতিয়ে দেখার জন্য বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর সেই বৈঠক করতে হবে ২১ ডিসেম্বর মধ্যে। এবিষয়ে এসএসসি চেয়ারম্যান, সব পক্ষের আইনজীবী একসঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন। এরপরেই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ ডিসেম্বর ধার্য করেন বিচারপতি।

এ বিষয়ে প্রয়োজনে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্য়ায় এবং এস পি সিনহার সঙ্গে কথা বলে বোর্ডকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেন বিচারপতি৷ তিনি বলেন, "আদালত একটা অতিরিক্ত শব্দও লিখবে না বোর্ডের জন্য। যদি এরপরেও জোড়াজুড়ি করেন শিক্ষামন্ত্রীকে এজলাসে ডেকে পাঠাব।"

গত নভেম্বরে ১৮৩ জনের সুপারিশ বাতিল করে এসএসসি। এঁদের মধ্যে ৮১ জন চাকরি করছেন এখনও। এদের নিয়োগপত্র বাতিলের জন্য আদালতের কাছে নির্দেশ প্রার্থনা করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আইনজীবী। তখনই বিচারপতি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, "মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগ বাতিলের ক্ষমতা আছে, তার প্রয়োগ করুক। অতিরিক্ত কোনও শব্দ নির্দেশনামায় লিখব না।"

Published by:Satabdi Adhikary
First published: