#কলকাতা: বিক্ষোভ-অবস্থান-কর্মবিরতিতেও মিলছে না রেহাই। নিগ্রহের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেছেন মেডিকেল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা। দিন কয়েকের মধ্যে মিলেছে ভাল সাড়াও। ফেসবুকে সেই জুনিয়র ডাক্তার ইউনিটি ফোরামের পেজে ফলোয়ার্সের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে ছ'শো।
জুনিয়র ডাক্তার নিগ্রহের ঘটনায় সম্প্রতি যোগ হয়েছে ন্যাশনাল মেডিকেলের নাম। মহম্মদ কামালুদ্দিন নামে এক প্রৌঢ়াকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে, জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁকে আইসিইউ-তে নিয়ে যান। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এর জেরেই রোগীর আত্মীয়দের হাতে আক্রান্ত হন এক জুনিয়র ডাক্তার। প্রতিবাদে টানা ছাব্বিশ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা। রাজ্যের প্রায় সব মেডিকেল কলেজেই এই ছবি বেশ পরিচিত।
একের পর এক ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকেরা -
১. ১৮ অগাস্ট ২০১৫ - কলকাতা মেডিকেল -
২. ২২-২৩ জুন - এসএসকেএম-এ প্রায় ষোলো ঘণ্টা কর্মবিরতি
৩. ১২ জানুয়ারি - আরজিকর-এ জুনিয়র ডাক্তার আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন কোমায়, ৩৭ ঘণ্টা কর্মবিরতি
৪. ৪ জুলাই - কল্যাণী মেডিকেলে আক্রান্ত জুনিয়র ডাক্তার
এবার সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। ফেসবুকে খোলা হয় জুনিয়র ডক্টর ইউনিটি নামে পেজ। চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে নাজেহাল অবস্থা হয় সাধারণ মানুষের। কিন্তু চিকিৎসক আক্রান্তর ঘটনাও যে মানুষ সমর্থন করছে না, তা স্পষ্ট করেছে এই পেজের ফলোয়ার্স সংখ্যাই। ইতিমধ্যেই সংখ্যাটা সাড়ে ছ'শো ছাড়িয়ে গেছে।
রাজ্যের বেশিরভাগ মেডিকেল কলেজেই এখন ক্ষমতায় তৃণমূল শাসিত বিভিন্ন সংগঠন। তবে জুনিয়র ডক্টর ইউনিটি চালুর পিছনে ডিএসও-র প্রভাব বেশি বলেই জানা গেছে। যদিও কোনওরকম রাজনীতি যোগের কথা অস্বীকার করেছেন সুজন ঘোষ।