Somraj Banerjee
#কলকাতা: আশঙ্কাই সত্যি হল। যাদবপুরে সমাবর্তনে রাজ্যপাল উপস্থিত হলে অশান্তি বিশৃঙ্খলা হতে পারে। তার জেরে রাজ্যপালকে এড়িয়ে গেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পিছিয়ে দেওয়া হল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ ডিসেম্বরের স্পেশ্যাল কনভোকেশন। এই স্পেশাল কনভোকেশন-এই ডিলিট এবং ডিএসসি সাম্মানিক দেওয়া হয়।তবে রাজ্যপালের অনুপস্থিতিতে পড়ুয়াদের শংসাপত্র ও মেডেল দেওয়ার জন্য বার্ষিক সমাবর্তন হবে নাকি তা সোমবারের কোর্টের বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হবে। শনিবার জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। সিদ্ধান্তের কথা জানানো হচ্ছে উচ্চশিক্ষা দফতরকে।
জল্পনা চলছিল কয়েকদিন ধরেই। শেষমেষ রাজ্যপাল তথা আচার্যকেই সমাবর্তনে এড়িয়ে গেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুুরে সমাবর্তনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় উপস্থিত হলে ক্যাম্পাসেে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। কেননা এসএফআই-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের প্রত্যেকটি সংগঠনই সমাবর্তনে রাজ্যপালকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু তাই নয়, ক্যাম্পাসে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এলে তাঁকে কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ করা হবে। এতেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অশান্তির আশঙ্কা করছেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমাবর্তনের স্পেশাল কনভোকেশন অংশটি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মূলত এই স্পেশাল কনভোকেশনেই রাজ্যপাল ডিলিট ডিএসসি সম্মান তুলে দেন। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কবি শঙ্খ ঘোষ এবং সলমন হায়দারকে ডিলিট ও বিজ্ঞানী সিএনআর রাও এবং আইএসআই অধিকর্তা সংঘমিত্রা বন্দোপাধ্যায়কে ডিএসসি দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য প্রদীপ কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, "পড়ুয়াদের তরফে আচার্যকে বয়কটের কথা জানিয়ে আমাদের ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। সমাবর্তনে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে পড়ুয়াদের অ্যাকাডেমিক ডিগ্রি ২৪ তারিখ দেওয়া হবে নাকি তা কোর্টের বৈঠকেই ঠিক করা হবে। আজ, শনিবার ইসির বৈঠকে সিদ্ধান্ত উচ্চ শিক্ষা দফতরের সচিবকে জানানো হচ্ছে। তিনিই আইন মোতাবেক আচার্যকে জানিয়ে দেবেন।"
তবে আচার্যকে বাদ দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বার্ষিক সমাবর্তন হবে কী না, তা সোমবার চূড়ান্ত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার স্পেশাল কনভোকেশন ছাড়া সমাবর্তনের বাকি অংশটুকু করা হবে। সেটি সোমবারের কোর্টের বৈঠকে পাস করিয়ে নেওয়া হবে। মূলত এই বার্ষিক সমাবর্তনে আচার্যের থাকার দরকার পড়ে না। উপাচার্যই পড়ুয়াদের ডিগ্রি ও মেডেল দিয়ে দেন।
ইতিমধ্যেই উচ্চ শিক্ষা দফতর আচার্যের ক্ষমতা নিয়ে নয়া বিধি জারি করেছে। নয়া বিধি মেনেই যাদবপুর এর তরফে এই সিদ্ধান্ত ৷ আচার্যকে সরাসরি এই সিদ্ধান্ত জানাবে না যাদবপুর। উচ্চ শিক্ষা দফতরই আচার্যকে এ সম্পর্কে অবহিত করবেন।