#কাকদ্বীপ: ইলিশ ধরতে গিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। মাঝসমুদ্রে বিকল হয়ে যায় ট্রলার। উপকূলরক্ষী বাহিনীর তৎপরতায় ১৫ মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছেন তাঁরা।
৩ দিন আগে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য রওনা দেয় এফবি কৃষ্ণ কানাইয়া নামের ট্রলারটি। মাছ ধরে ফেরার পথে ঘটে বিপত্তি। আবহাওয়ার পরিবর্তনে উত্তাল হয়ে যায় সমুদ্র। ফলে কোনভাবে ট্রলারের পিছনের পাখা ভেঙে যায়। এরপর বিকল হয়ে মাঝ সমুদ্রে ভাসতে থাকে সেটি। বহু চেষ্টাতেও তাঁরা সেই ট্রলার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি মৎস্যজীবীরা। ফলে একপ্রকার বাঁচার আশা ক্ষীণ হয়ে আসছিল। রেডিও যোগাযোগ ব্যাবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এমতাবস্থায় শনিবার বিকেলে ট্রলারটি উপকূলরক্ষী বাহিনীর নজরে আসে। ট্রলার থেকে লাল কাপড় দেখান হয়। এরপর ধীরে ধীরে সব মৎস্যজীবীকে ট্রলার থেকে উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি, ট্রলারটিকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টগার্ডের আধিকারিক অভিজিৎ দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো উপকূলরক্ষী বাহিনী সীমান্তবর্তী এলাকায় বোটে চেপে টহল দিচ্ছিল। তারাই ভাসমান ট্রলারটি দেখতে পান। সেটি তখন ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে বাংলাদেশের দিকে চলে যাচ্ছিল। আশেপাশে অন্য কোনও ট্রলার নেই দেখে বাহিনীর সন্দেহ হয়। ঠিক সেই সময়ই বিপদগ্রস্ত ট্রলারটি থেকে লাল কাপড় উড়িয়ে বিপদ সংকেত দেখাতে থাকেন মৎস্যজীবীরা। এরপর কাছি পাঠিয়ে ধীরে ধীরে দ্বীপের আনা হয় ট্রলার। উদ্ধার করা হয় মৎস্যজীবীদের।
অভিজিৎ দাশগুপ্ত আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সঠিক সময়ে উপকূলরক্ষী বাহিনীর চোখে না পড়লে বড় বিপদ ঘটতে পারত। প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। তাঁদের তৎপরতাতেই দুর্ঘটনার মুখে পড়া জাহাজ থেকে মৎস্যজীবীদের তুলে নিয়ে ধীরে ধীরে বোট নোঙর করা হয় সুন্দরবন এলাকার একটি দ্বীপে। এরপর খবর দেওয়া হয় কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী সংগঠনের কাছে। রাতভর সেখানে থাকার পর ২টি বোট এসে রবিবার সকালে মৎস্যজীবীদের নিয়ে যায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।