#কলকাতা: কয়লা দুর্নীতি (Coal Scam) নিয়ে জোর কদমে আসরে নেমেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবারই শুভেন্দু দাবি করেছেন, কয়লা দুর্নীতি থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কাছে গিয়েছে ৯০০ কোটি টাকা। আবার কয়লা দুর্নীতিতেই শনিবার রাতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বাঁকুড়ার আই সি অশোক মিশ্র। রবিবার কলকাতার হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী সদর দফতর থেকে শুভেন্দু দাবি করেন, ' প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ভাইপোকে পাইয়ে দিয়েছে বিনয় মিশ্র, অশোক মিশ্রের চক্র। গোটা ব্যানার্জি পরিবার এই দুর্নীতিতে যুক্ত। মুখ্যমন্ত্রী এর দায় এড়াতে পারেন না।' আর এবার সেই কয়লাকাণ্ডেই বিজেপিকে পালটা চাপে ফেলার কৌশল নিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার অভিষেক ট্যুইট করে লেখেন, 'সমস্ত কয়লা খনির দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার আর তা রক্ষা করার দায়িত্ব রয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির উপর। যদি বিজেপি নেতারা মনে করেন, কয়লা খনি থেকে তৃণমূল নেতারা বেআইনিভাবে টাকা কামাচ্ছেন, তাহলে কেন্দ্র তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন না কেন, যারা জাতীয় সম্পত্তি রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন?'
এরপরই কটাক্ষের সুরে অভিষেক লেখেন, 'এটা অত্যন্ত আশ্চর্যজনক, কয়লা মন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তাঁদের নিজেদের বস (পড়ুন মোদি-শাহ)-দের নির্দেশ না শুনে তৃণমূল নেতাদের কথা শুনছেন। মানুষকে বোকা ভাবা ভুল।'All coal assets fall directly under Centre & are guarded by the Central agencies.
If BJP thinks TMC leaders got money from those illegally operating the coal assets, then what’s stopping Centre from investigating all culprits who failed to manage these national assets? (1/2) — Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) April 5, 2021
প্রসঙ্গত, একটি বিতর্কিত অডিও টেপ প্রকাশ্যে আসার পরেই শনিবার অশোক মিশ্রকে নয়াদিল্লি থেকে গ্রেফতার করে ইডি। দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে আইসি অশোক মিশ্রকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়েছিল। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন শুভেন্দু দাবি করেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোকে কেন্দ্র করে অনেকগুলি কথোপকথন সামনে এসেছে। সেগুলো সব আমরা সামনে আনব।' সেই অডিও টেপও শুভেন্দু প্রকাশ্যে আনেন। আর এরপরই পালটা চাপের রাজনীতিতে হাঁটলেন অভিষেক।
প্রসঙ্গত, কয়লাকাণ্ডের তদন্তের গতিপ্রকৃতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে একাধিক ব্যবসায়ী, পুলিশ মহলের একাংশ, এমনকী একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম উঠে এসেছে। মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার সঙ্গে তাঁদের সরাসরি যোগসূত্র মিলছে বলেও তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। যদিও ওই কাণ্ডে এখনও ফেরার তৃণমূলের যুব নেতা বিনয় মিশ্র। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা মনে করছে, অবৈধভাবে কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অভিযুক্তদের সকলেই। তাঁদের মাধ্যমেই কয়লা পাচারের টাকা ঘুর পথে পৌঁছে যেত প্রভাবশালীদের কাছে। এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে একটি তালিকাও ইতিমধ্যে তৈরি করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।