হোম /খবর /কলকাতা /
বিশেষভাবে সক্ষম মহিলাদের সঙ্গে একদিন কাটল ইচ্ছাশক্তি ফাউন্ডেশন

বিশেষভাবে সক্ষম মহিলাদের সঙ্গে একদিন কাটল ইচ্ছাশক্তি ফাউন্ডেশন, হাতে তুলে দিল শীতবস্ত্র

ইচ্ছাশক্তি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রথমে ওদের হাতে তুলে দেওয়া হয় কেক আর বিস্কুটের প্যাকেট।এরপর ওদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শীতবস্ত্রের সম্ভার।

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা: করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন মিলেছে৷ আশায় বুক বাঁধছে সকলে৷ এবার হয়ত মারণ করোনার হাত থেকে মুক্তি মিলবে৷ এমনই বিশ্বাস জন্মাচ্ছে সবার মনে৷ তারই মধ্যে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হচ্ছে৷ একে অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাইছে কিছুটা ভাল সময়৷

কিন্তু তবুও সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা অন্য সাধারণের চোখে অপাংক্তেয়। কারণ তারা আমাদের সাধারণ দৃষ্টিতে স্বাভাবিক নয়। তেমনই কিছু মানুষের পাশে দাঁড়াল "ইচ্ছাশক্তি ফাউন্ডেশন" ৷ তাদের ক্ষুদ্র সামর্থ নিয়েই এই সব বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা৷ ।

২৭ ডিসেম্বর "প্রত্যাশা হোম"-এ গিয়েছিলেন তাঁরা৷ ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতালের পাশে অবস্থিত এই হোম৷ মূলত "বড়দিন" পালন করতে সেখানে গিয়েছিলেন সকলে। ছিলেন ৩৫ জন বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষ। আর তাদের বেঁচে থাকার লড়াই এর গল্প চাক্ষুষ ফুটে উঠল সকলের সামনে।

এটি বিশেষভাবে সক্ষমদের হোম, যেখানে মূলত মেয়েরা থাকে। যাদের ৬ থেকে ১৫-র মধ্যে৷ আর কয়েকজন মাত্র বয়স্কা। এই হোমের কর্তৃী যাঁরা তাঁদের মাদার বলে সম্বোধন করা হয়৷ তাঁরা হলেন শম্পা দি, শ্যামলী দি, যাঁরা নিজেরাও বিশেষভাবে সক্ষম৷ তবুও এদের সকালের দেখভালের দ্বায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন আনন্দ মনে৷ এঁদের অসামান্য জীবনীশক্তি আর মনের জোরকে কুর্নিশ।

ইচ্ছাশক্তি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রথমে ওদের হাতে তুলে দেওয়া হয় কেক আর বিস্কুটের প্যাকেট।এরপর ওদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শীতবস্ত্রের সম্ভার।এরপরে সকল আবাসিকদের জন্য সামান্য মাংস-ভাতের আয়োজন করা হয়।ওদের কাছে যে উষ্ণ অভ্যর্থনা আমরা পেয়েছি সেটা সত্যি ভোলার নয়, বলছেন ফাউন্ডেশনের কর্তারা। আবার ফিরে আসবেন তাঁরা এই অঙ্গীকারে হোমেকে বিদায় জানালেন সকলে।

Published by:Pooja Basu
First published: