#কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ লোকাল ট্রেন, দূরপাল্লার ট্রেন ধরতে যেতে হচ্ছে স্টেশনে। মাঝে-মধ্যেই প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন স্টেশনের পরিবেশ নিয়ে। হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনের পরিবেশ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। এই দুই স্টেশনের পরিবেশ ও স্বাচ্ছন্দ্যের খামতিকে সামনে রেখে ২০১৭ সালের জুন মাসে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত জাতীয় পরিবেশ আদালতে অভিযোগ জানান। রেল বনাম সুভাষ দত্তের অভিযোগের ভিত্তিতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। দীর্ঘদিনের এই বিচার প্রক্রিয়ায় বুধবার আদালতের নির্দেশে ইস্টার্ন রেলের অ্যাডভোকেট কল্যাণ সরকার পরিদর্শন করলেন হাওড়া ও শিয়ালদহ। করোনা পরিস্থিতিতে যখন বারবার প্রশ্ন উঠছে ট্রেন চালু হলে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা নিয়ে, তখন এই পরিদর্শনকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
কী কী দেখার নির্দেশ আছে দুই স্টেশনে?
হাওড়া
১. টিকিয়াপাড়া ও ঝিল সংলগ্ন এলাকায় পরিবেশ কেমন আছে?
২. জলের মিটার কিভাবে বসানো হয়েছে? তার ব্যবহার কীভাবে হয়েছে?
৩. স্টেশন নিকাশি ব্যবস্থা কেমন?
৪. ভ্যাটের ব্যবস্থা কেমন ও কতটা পরিচ্ছন্ন?
৫. পরিবেশ কতটা স্বাচ্ছন্দ্যের ?
৬. রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানগুলোয় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
৭. সচেতনতা মূলক কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
৮. অপরিচ্ছন্ন কোথাও পরিবেশ আছে কিনা?
শিয়ালদহ
১. পানীয় জলের ব্যবস্থা কেমন?
২. বায়ুদূষণ কি হচ্ছে স্টেশন?
৩. প্লাস্টিকজাত জিনিস নষ্ট করার সামগ্রীর ব্যবহার কেমন হচ্ছে?
৪. সচেতনামূলক বার্তা কতটা কার্যকরী হচ্ছে স্টেশনে?
৫. যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে স্টেশন সংলগ্ন বাগান ব্যবস্থা কী কী আছে?
করোনা পরিস্থিতিতে এই বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে দুটি স্টেশনের বিভিন্ন কর্তাদের নিয়ে ঘুরে দেখলেন আইনজীবী কল্যাণ সরকার। তিনি জানালেন, আগের থেকে অনেকটাই উন্নত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দুটি স্টেশনে। করোনা সংক্রমণ ট্রেন থেকেই হয় বা হতে পারে এই কথা প্রথমেই ভাবার কোনও কারন নেই। হাওড়া ও শিয়ালদহের পরিবেশ আগের থেকে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যমূলক। স্টেশনের যাত্রীদের কাছে আবেদন একটু নিয়ম মেনে চলুন, তাহলে ভয় থেকে মুক্ত হবেন। বুধবার রেল লাইন, পানীয় জলের ব্যবস্থা, সচেতনমূলক বার্তা-সহ একাধিক ব্যবস্থা পরিদর্শন করে দেখেন আইনজীবী। আগামী দিনে এই রিপোর্ট জমা পড়বে জাতীয় পরিবেশ আদালতে।
সুশোভন ভট্টাচার্য