#কলকাতা: যাত্রী পরিষেবার জন্য ধীরে ধীরে প্রস্তুত করা হচ্ছে হাওড়া স্টেশন। প্রতিদিন হাওড়া ও নিউ দিল্লির মধ্যে এসি স্পেশাল ট্রেন চালু করার পাশাপাশি একাধিক শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন যাতায়াত করছে। তাই সামাজিক দুরত্ব মেনেই আগামিদিনে কীভাবে যাত্রী পরিষেবা শুরু করে দিতে পারা যায় সামাজিক দুরত্ব মেনে তার প্রস্তুতি সেরে ফেলল হাওড়া ডিভিশন। আপাতত ঠিক হয়েছে প্রতিদিন ১৫০ করে রেল রক্ষী বাহিনী বা আর পি এফ প্রস্তুত থাকবে ট্রেন ধরার জন্য বা ট্রেন থেকে যে সব যাত্রী হাওড়া স্টেশনে নামবেন তাদের জন্য। ট্রেন চলাচলের সময় যাতে কোনও ধরনের অসুবিধা তৈরি না হয় সেদিকে পুরো মাত্রায় নজর দিতে বলা হয়েছে। আর পি এফের সিনিয়র কমান্ড্যান্ট রজনীশ ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, "আগামিদিনে ধরে নেওয়া হচ্ছে রেল চলাচল শুরু হলে সামাজিক দুরত্ব মেনেই ট্রেন সফর করতে হবে। তাই যাত্রীদের কীভাবে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হবে বা কীভাবে বার করে নিয়ে যাওয়া হবে তা নিয়ে আমরা বারবার পরীক্ষা চালাচ্ছি। সিসিটিভি ক্যমেরায় যেমন যাত্রীদের ওঠাপড়া নজরে আসবে। তেমনি আমাদের জওয়ানরাও নজর রাখবেন।"
হাওড়া স্টেশনের ক্যাব রোডে কয়েক ফুট অন্তর অন্তর তৈরি করা হয়েছে বৃত্ত। সেখানেই এসে দাঁড়িয়ে আগে থারমাল গান দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে। তাপমাত্রার হেরফের হলে রেলে ওঠার ক্ষেত্রে বাধা আসতে পারে। এরপর যেতে হবে রেলের স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তারপরে আরও একবার ই টিকিট দেখাতে হবে রেলের টিকিট পরীক্ষকদের। তিনি অনুমতি দিলে তবেই আর পি এফের সহায়তা নিয়ে পৌছে যাওয়া যাবে ট্রেনের দরজা পর্যন্ত। তবে কামরায় একবার উঠে পড়লে কোনওভাবেই ট্রেন থেকে নামা যাবে না। প্ল্যাটফর্মে বসা যাবে না।
অন্যদিকে ট্রেনের ভিতরে কয়েক ঘন্টা অন্তর অন্তর স্যানিটাইজ করা হবে। ট্রেনের শৌচালয় এবং বেসিনেও তাই রাখা হচ্ছে স্যানিটাইজার। এছাড়া ট্রেনে আর পি এফের তরফ থেকে যারা নিরাপত্তারক্ষী আছেন তাদের জন্যেও থাকছে ফেস শিল্ড ও মাস্ক। এমনকি যারা টিকিট সুপারিন্টেন্ডেন্ট যাবেন তাদেরও ফেস শিল্ড দেওয়া হয়েছে। ট্রেনে খুব অল্প সংখ্যক কর্মী নিয়ে যাতায়াত করতে বলা হয়েছে। তবে সুরক্ষা বিধি যে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যাত্রীদের। সেই হিসেবেই প্রস্তুতি নিয়েছে রেল রক্ষী বাহিনী।
ABIR GHOSHAL