#কলকাতা: বিগবসের আদলে লকডাউনে টাস্ক দিয়েছিল হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট বা এইচ এম আই। সকাল থেকে রাত অবধি ঘরে থাকতে গেলে কি কি ব্যায়াম বা যোগাসন করা যায়। একই সঙ্গে ঘরের মধ্যে থেকে কিভাবে সুন্দর করে লকডাউন পালন করতে পারে জনতা তাতে টাস্ক দিয়েছিল হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউট। এবার লকডাউনের বাজারে মাস্ক তৈরি করে ফেলল দার্জিলিং হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউট বা এইচ এম আই। শুধু তাই নয় কম খরচে প্রোটোটাইপ ভেন্টিলেটর বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। কিছুদিনের মধ্যেই বাজারের থেকে অনেক কম দামে আসতে চলেছে এই ভেন্টিলেটর। লকডাউনে "বিগবস" চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে এই প্রতিষ্ঠান। তারই মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত নেয় তারা বানাবে মাস্ক ও ভেন্টিলেটর। করোনা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই উদ্যোগের কথা মেনে নেন আধিকারিকরা।
হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউট প্রিন্সিপাল জয় কিষাণ বলেন, " মাস্ক তৈরির জন্য গুণগত কাপড় বাছাই করা থেকে শুরু করে কাপড় কাটা, মাপজোক করা, সেলাই করা সব কাজই করছে আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।" যে ধরণের মাস্ক বানানো হচ্ছে তাতে দূষণ আটকানো অনেক সহজ হবে বলে মত তাদের। প্রথম দফায় প্রায় ১০০০ মাস্ক বানিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে মাস্ক সরবরাহের আগে স্যানিটাইজ করা হয়েছে পুরোপুরি ভাবে।অন্যদিকে ভেন্টিলেটর বানানোর কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে। নাম দেওয়া হয়েছে এইচ এম আই জুগাড় ফর কোভিড ভেন্টিলেটর। এটা প্রোটোটাইপ এএমইউ রেসপিরেটরি সিস্টেম হিসাবে কাজ করছে।
ডিজিটাল ডিসপ্লে অন্যান্য ভেন্টিলেটরের চেয়ে আলাদা। বেশ কিছু অংশ আসা এখনও বাকি রয়ে গেছে। সেগুলি এসে গেলেই পাকাপাকিভাবে এই ভেন্টিলেটরের ব্যবহার শুরু করে দিতে পারা যাবে। প্রিন্সিপাল জয় কিষাণ জানিয়েছেন, "পাহাড়ে কিভাবে প্রাণ বাঁচাতে হয় তা আমরা জানি। ওই ধরণের পরিস্থিতি যাচাই করেই এই ভেন্টিলেটর বানানো হচ্ছে।" দাম যাতে সাধারণ মানু্ষের আয়ত্তের মধ্যে থাকে সেই চেষ্টা করা হয়েছে এটি বানাতে গিয়ে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona, Corona Virus, Himalayan Mountain, Mask