#কলকাতা: অতীতে বিভিন্ন নিয়োগে প্রশ্নে পড়তে হয়েছে আদালতে। সিভিক ভলেন্টিয়ার, শিক্ষক, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র নানা পদে নানা প্রশ্ন ধেয়ে এসেছে হাইকোর্টের থেকে। এবার আরও কিছু প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইল আদালত। রাজ্যে পুলিশের নিয়োগে মানা হচ্ছে আসন সংরক্ষণ নীতি? ২০১১ সালের পর রাজ্যের পুলিশে নিয়োগে কী ভাবে মানা হচ্ছে নীতি? ১০০ পয়েন্ট রোস্টার কী ভাবে প্রয়োগ হচ্ছে পুলিশের নিয়োগে? একটি জনস্বার্থ মামলায় এমনই অভিযোগ ওঠে। বুধবার জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে এই প্রশ্নগুলির উত্তর চায়।
জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী প্রদ্যুম্ন সিনহা জানান, "রাজ্যকে হলফনামায় অবস্থান স্পষ্ট করতে নির্দেশ আদালতের। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা পেশের নির্দেশ হাইকোর্টের।"সল্টলেকের বাসিন্দা স্বদেশ মজুমদার জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ করেন ২০১১ সালের পর থেকে রাজ্য জুড়ে পুলিশের নিয়োগে মানা হচ্ছে না ১০০ পয়েন্ট রোস্টার নীতি। ১০০ পয়েন্ট রোস্টার নীতি কী? সারা দেশে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে আসন সংরক্ষণ কী ভাবে হবে তা সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ স্থির করে দেয় ১৯৯৩ সালে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সামনে রেখে রাজ্যগুলি সরকারি চাকরির শূন্যপদের আসন সংরক্ষণ নীতির রুপরেখা তৈরি করে। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে তপশিলি জাতি, উপজাতি, মহিলা, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী, সাধারণ বিভিন্ন সংরক্ষণ নির্দিষ্ট করা হয় এই নিয়মে। রাজ্যের পুলিশের নিয়োগে তা মানা হচ্ছে, হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে তাই জনস্বার্থ মামলা হয় ২০২০ সালে।
এরই মধ্যে ২০১৯ সালে রাজ্য পুলিশের সাব ইন্সপেক্টরের(UB) ৫০টি শূন্য পদে নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। চলতি বছরে ১৮ জুন নিয়োগের মেধা তালিকা প্রকাশ হয়। নথিতে সামনে আসে ৫০ জনের মধ্যে ৪৮জন প্রার্থী একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের। মামলাকারীর দাবি, সরকারি নিয়োগের আসন সংরক্ষণের নিয়ম সামনে রেখে নতুন সার্কুলার জারি করা হচ্ছে। ২৩ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি এই মামলার।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: High Court