গোটা বিশ্বকে ঘরবন্দি করে ছেড়েছে করোনা। প্রভাব পড়েছে বিচারব্যবস্থাতেও। রাজ্যের হাইকোর্ট, জেলা আদালত, মহকুমা আদালত স্তব্ধ। শুনছেন আদালতের এজলাসগুলি। এই অবস্থাতেই নজির গড়ল কলকাতা হাইকোর্ট। গোটা শুনানি হল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে।
গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকাতে হাইকোর্ট নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নেয় কিছুদিন আগেই। জানানো হয়, জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানি হবে। কোন মামলার জরুরি শুনানির প্রয়োজন তা স্থির করে দেবে হাইকোর্টের বিচারপতিরা। পুরো প্রক্রিয়াটাই হবে ইলেকট্রনিক মেইল ও হোয়াটসঅ্যাপ, স্কাইপি মাধ্যমে।
১ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের কক্ষ ছিল শুনশান। কোনও আইনজীবীই আসেননি। তবু জরুরি মামলার শুনানি হল। বিচারপতিরা উপস্থিত রইলেন হাইকোর্ট প্রান্ত থেকেই। আর আইনজীবীরা বাড়ি থেকে অথবা নিজেদের চেম্বার থেকে হাজির থাকলেন ভিডিও কনফারেন্সে। স্কাইপিতে শুনানি চলল দিনভর।
খুব প্রয়োজনীয় ১০ মামলার শুনানি হলো বুধবার। ভিডিও শুনানিতে থাকলেন প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণন, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি, আই পি মুখোপাধ্যায় । বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ভিডিও শুনানিতে ব্যস্ত রইলেন দিনভর। সেই ছবিও ধরা পরল ।
শুধু তাই নয়, ল্যাপটপে আইনজীবীর আবেদন শুনে প্রয়োজনীয় অংশের উত্তর চেয়ে নিলেন বিচারপতিরা। ইলেকট্রনিক মেইল এবং হোয়াটসঅ্যাপ পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়েছে ভিডিও শুনানিকে সম্পূর্ণ করতে। বুধবারের অত্যন্ত জরুরি মামলা ছিল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের জরুরি পরিষেবা স্বাভাবিক করার আবেদন নিয়ে। কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট এবং আন্দামান প্রশাসনের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বুধবার প্রয়োজনীয় নির্দেশ দান করলো প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। দ্বীপপুঞ্জের জরুরি পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি হয়েছে হাইকোর্টের ভিডিও শুনানি পরে। ৮ এপ্রিল পরবর্তী শুনানি।
আইনজীবী ছাড়া এজলাসের নজির নেই হাইকোর্টের ইতিহাসে। করোনা জেরে হাইকোর্ট এদিন প্রবেশ করলো ইতিহাসের পাতায়। কোর্ট ফি এখন দিতে হচ্ছে না এখনই। ই-মেলে মামলা দায়েরের ব্যবস্থা হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সে জরুরি মামলার শুনানির বিচারপতিদের এমন প্রশংসনীয় উদ্যোগ আগামীর জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona Virus