#কলকাতাঃ হলদিয়া বন্দরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন এক ঠিকাকর্মী। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই কাজে আসা বন্ধ করে দেন কর্মীরা। ফলে সমস্যায় পড়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ। শনিবার কলকাতা বন্দর এক বিবৃতিতে জানায়, ঠিকাদার সংস্থার এক কর্মীর জ্বর আসায় তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করান হয়। সেখানেই দেখা যায়, ওই কর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এরপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। বিজ্ঞপ্তিতে বন্দর উল্লেখ করেছিল, গত মাসের ২৪ তারিখ ওই ব্যক্তি দিল্লি থেকে হলদিয়ায় ফেরেন। দিল্লির যে জায়গা থেকে তিনি ফেরেন সেখানে একাধিক লোকের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই অবস্থায় বন্দরের যারা ঠিকা কর্মী ছিলেন তারা বন্দরে আসা প্রায় বন্ধ করে দেন। ফলে বন্দরের কাজ শিকেয় ওঠে।
এদিকে, বন্দরে অত্যাবশকীয় পণ্য ওঠানো নামানোর কাজ চলছে। বিশেষ করে এলপিজি, পেট্রোলিয়াম, কয়লা, ন্যাপথার মতো নানান জিনিষ ওঠা-নামা করে এই হলদিয়া বন্দর থেকেই। সেখানে যারা কাজ করেন তারা যদি না আসেন তাহলে বন্দরের স্বাভাবিক কাজ চালানো মুশকিল হয়ে পড়বে। বন্দরের কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখতে ইউনিয়ন, কর্মী সংগঠন, ঠিকাদার সংস্থা, ব্যবসায়ী ও ক্রু'দের নিয়ে সোমবার বৈঠকে বসেন বন্দর চেয়ারম্যান বিনীত কুমার। ইতিমধ্যেই তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করেছেন, বন্দর কাজ করার জন্য নিরাপদ। হলদিয়া ডক সিস্টেম স্বাভাবিক রাখতে সমস্ত ধরণের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, "১২, ১৩, ১৪ নম্বর বাথ স্যানিটাইজেশনের কাজ চলছে। গ্লাভস, মাস্ক-সহ সমস্ত ধরণের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সবাইকে যথাযথ পরীক্ষা করেই কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। সেই পরীক্ষা বন্দরও করছে।"
ইতিমধ্যেই হলদিয়া বন্দরে আট স্যানিটাইজেশন মেশিন ও ২ দমকল দিয়ে জীবনুনাশের কাজ চলছে। প্রয়োজনে আরও মেশিন এনে বন্দর জীবাণুমুক্ত করানো হবে বলে জানিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান। লক ডাউন ঘোষণার পরে গত এক সপ্তাহে হলদিয়া বন্দরে ১১টি জাহাজ এসেছে ও ৯ টি জাহাজ বন্দর ছেড়ে বেরিয়ে গেছে। ৭ টি জাহাজ এখনও পণ্য ওঠানো নামানোর কাজ করছে। প্রতিদিন এই কাজ করতে গিয়ে যাতে স্বাস্থ্য সচেতনতার কোনও ফাঁক না থাকে সে বিষয়ে নজরদারি রাখছে বন্দর। বিশেষ করে কোনও জাহাজ বন্দরে আসলে তাদের যারা ক্রু রয়েছেন তাদের বিষয়ে। কোনও নাবিককেই বন্দরে নামার অনুমতি এখনও দেওয়া হয়নি। অন্য রাজ্য থেকে আসা কারও মারফত যাতে বন্দরে সংক্রমণ না ছড়ায় সেটিও দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে ক্যান্টিন, সুপারভাইজার অফিসের মতো এলাকাগুলিতে।
ABIR GHOSAL
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: COVID-19, Port trust of india, Vineet kuman