#কলকাতা: নির্বাচন কমিশনারকে বৃহস্পতিবার সাত দফা নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শুক্রবার আরও এক পা এগিয়ে কার্যত তিনি বুঝিয়ে দিলেন, পুরভোটের ব্যাপারে তিনি তাঁর সক্রিয় মনোভাবই রাখবেন। নির্বাচন কমিশনারকে রাজভবনে ডাকার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শুক্রবার তিনি বলেন 'আমি পোস্টমর্টেম বা ময়না তদন্ত বিশ্বাসী নই। হিংসা ঘটবে আর তারপর আমি পদক্ষেপ নেব, তা আমি করতে চাই না। হিংসা আটকানোর জন্যই আমি বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আশা করি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে।'
বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের দেওয়া সাত দফা নির্দেশ এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে রাজভবনের বিবৃতি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বৃহস্পতিবারই তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজভবনে রাজ্যপাল ও নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে বৈঠককে ঘিরে কটাক্ষ করেছেন। কিন্তু বৈঠকের ২৪ ঘণ্টা পর শুক্রবার বৈঠক নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বারবারই রাজ্যে হিংসা নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। পুরভোটে তিনি তাঁর সক্রিয় মনোভাব যে বজায় রাখবেন, তা কার্যত বুঝিয়ে দিলেন এদিনের মন্তব্যের মাধ্যমেই। তিনি বলেন, ' ২০১৮,২০১৩ তে নির্বাচন নিয়ে কি হিংসা হয়েছিল এ রাজ্যে তা আমি খবর নিয়েছি। এবারের পুরভোটে যাতে হিংসা না হয়, তার জন্যই আমি নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছি।' তিনি আরও বলেন, ' রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের মতই ক্ষমতা রয়েছে। তাই রাজ্যের নির্বাচন কমিশন রাজ্যের অধীনে নয় সেটাও বৈঠকে আমি নির্বাচন কমিশনারকে বলেছি। আশা করি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে।' তবে পুর ভোটকে কেন্দ্র করে কোনও অশান্তি হলে তিনি যে চুপ করে বসে থাকবেন না, তাও এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ভোটকে ঘিরে কোনও হিংসা হবে,তারপর আমি ব্যবস্থা নেব, এমনটাতে আমি বিশ্বাসই নই। আমি কোনওভাবে ময়নাতদন্ত করতে চাইনা।'
তবে শুধু পুরভোট নয়, দিল্লির হিংসা নিয়েও এদিন সরব হন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, 'যেকোনও হিংসার ঘটনাই দুঃখজনক। হিংসা হলে উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে যায়। তবে হিংসা নিয়ে রাজনীতি করাও ঠিক নয়।" যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির আগে কমিশনের ওপর চাপ তৈরি করতেই এই ধরনের মন্তব্য রাজ্যপালের।
SOMRAJ BANDOPADHYAY