#কলকাতা: রবিবার, ছুটির দিন, ঘড়ির কাঁটা তখন ঠিক বিকেল ৪টে। ফার্স্ট লেডি-কে সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার একটি অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রবেশ করলেন রাজ্যপাল। রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বৈরথের মধ্যে এমন ঢাকের আওয়াজ শুনে তিনিও থেমে থাকলেন না। ঢাকির কাছ থেকে তাঁর ঢাকের কাঠি নিয়ে নিজেই ঢাক বাজালেন। যেন বুঝিয়ে দেওয়া রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে কিছু বার্তা দিতে এসেছেন তিনি। সময় গড়াতেই তা স্পষ্ট হল।
আসলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ, হিংসার চেহারায় এখনও উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এবার সেই হিংসা রোখার উপায় বাতলে দিলেন তিনি। রবিবার দক্ষিণ কলকাতার অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জানান, হিংসার নামে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। দেশের সংবিধানে মৌলিক কর্তব্য একটি চ্যাপ্টারের মধ্যেই রয়েছে। রাজ্যপালের কথায়, "সংবিধানে আমাদের ১১টি মৌলিক কর্তব্যের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এই মৌলিক কর্তব্য কী? তা যদি আমরা প্রত্যেকে জেনে নিই, তাহলে আমরা নিজেরাই সচেতন হয়ে যাব। তখন আর কেউই সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করব না। হিংসার পথে পা বাড়াবো না। "
ডিসেম্বর ২০১৯, দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ কয়েকটা দিনের ছবি রাজ্যপালের চোখ জুড়ে ৷ সব সময় হিংসা যেকোনও মূল্যে বন্ধ করার বার্তা বারবার দিয়েছেন তিনি। তারপরেও রাজ্যের সার্বিক চেহারা তিনি নিজে যেভাবে দেখেছেন তাতে হিংসা কমাতে ফের সরব হলেন রবিবার। পাটুলির অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রবেশের সময়ই রাজ্যপাল এদিন ঢাকের কাঠিতে হাত দিয়ে বোল তোলার চেষ্টা করেন। ইঙ্গিতপূর্ণ এই ছবি মঞ্চে রাজ্যপাল বক্তব্য রাখতেই স্পষ্ট হয়ে উঠল। মৌলিক কর্তব্যের পাঠ দিয়ে রাজ্যবাসীকে সজাগ করাই বাংলার অন্যতম লক্ষ্য। হিংসা রুখে দেওয়ার গান্ধীবাদী দাওয়াই এটা বলেই হয়তো মনে করছেন তিনি।
ARNAB HAZRA
Published by:Elina Datta
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।