হোম /খবর /কলকাতা /
হাওড়া পুরসভার বিলে সই করেননি, বিভ্রান্তি কাটিয়ে জানালেন জগদীপ ধনখড়

Jagdeep Dhankhar: হাওড়া পুরসভার বিলে সই করেননি, বিভ্রান্তি কাটিয়ে জানালেন জগদীপ ধনখড়

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়৷ ফাইল ছবি

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়৷ ফাইল ছবি

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে কলকাতা হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে, আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের বাকি পুর নিগমগুলিতে ভোট করাতে চায় তারা৷ এর মধ্যে রয়েছে হাওড়াও (Howrah Municipality Election)৷

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা: শুক্রবার খবর ছড়িয়ে পড়ে, হাওড়া (Howrah) পুরসভার সংশোধনী বিলে সই করে দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeeo Dhankhar)৷ ওই বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, হাওড়া থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে বালি পুরসভাকে৷ প্রায় এক মাস আগে বিলটি রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হলেও সরকারের কাছে বেশ কিছু ব্যাখ্যা চেয়ে বিলটিতে সই করেননি তিনি৷ এ দিন ট্যুইট করে রাজ্যপাল বুঝিয়ে দিলেন, তিনি নিজের আগের অবস্থানেই অনড় আছেন (Howrah Municipality Election)৷

ট্যুইটারে জগদীপ ধনখড় লিখেছেন, 'রাজ্যপাল হাওড়া পুরনিগম সংশোধনী বিলে সই করেছেন বলে যে খবর সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, তা ঠিক নয়৷ সংবিধানের ২০০ ধারা অনুযায়ী এই বিলটি বিবেচনাধীন রয়েছে কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে যে তথ্যগুলি চাওয়া হয়েছিল তা এখনও পাওয়া যায়নি৷'

আরও পড়ুন: 'শেষ হইয়াও হইল না শেষ', কলকাতা পুরভোট নিয়ে কমিশনকে বড় নির্দেশ হাই কোর্টের!

কলকাতার সঙ্গেই হাওড়া পুরসভার নির্বাচনও একসঙ্গে করিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ কিন্তু হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিল রাজ ভবনে আটকে থাকায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়৷

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে কলকাতা হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে, আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের বাকি পুর নিগমগুলিতে ভোট করাতে চায় তারা৷ এর মধ্যে রয়েছে হাওড়াও৷ কিন্তু রাজ্যপাল হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিলে সই না করায় হাওড়ার পুরভোট কবে হবে, তা নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হল৷

আরও পড়ুন: বড় খবর! আচার্য পদ থেকে সরছেন ধনখড়? সংঘাতের তীব্র আবহ রাজ্যে

২০১৫ সালে হাওড়া পুরসভার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল বালি পুরসভাকে৷ সেই সময় বালির ৩৫টি ওয়ার্ডকে ভেঙে ১৬টি ওয়ার্ড করা হয়৷ যার ফলে হাওড়া পুরসভার ওয়ার্ড সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬৷

যদিও রাজ্য সরকারের তরফে পুরভোটের আগেই বালিকে হাওড়া থেকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য৷ রাজ্য সরকারের অবশ্য দাবি, প্রশাসনিক সুবিধার জন্যই বালিকে হাওড়া থেকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ বালিকে হাওড়া থেকে আলাদা করতে বিধানসভায় বিল পাস করিয়ে রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়৷ যদিও সেই বিলে সই করেননি রাজ্যপাল৷

Published by:Debamoy Ghosh
First published: