#কলকাতা: প্রথম চিঠি ফিরেয়েছে রাজ্য। কেন্দ্র জেপি নাড্ডার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তিন আইপিএস-কে ডেপুটেশনে চেয়ে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দ্বিতীয় চিঠি দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আইপিএস তলবকে ঘিরে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত চূড়ান্ত হতেই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পত্রপাঠ জবাব. কেন্দ্রের এই অগণতান্ত্রিক পেশিশক্তি প্রদর্শন মানা যাবে না ছাড়া যাবে না আইপিএস-দের।
মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এদিন ট্যুইটারে স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, "রাজ্য না করা সত্ত্বেও কেন্দ্র দ্বিতীয় বার ডেপুটেশনে ডাকছে আইপিএস অফিসারদের। এটা পরিষ্কার ভাবেই আইপিএস ক্যাডার রুল ১৯৫৪ এর অপপ্রয়োগ।"
GoI’s order of central deputation for the 3 serving IPS officers of West Bengal despite the State’s objection is a colourable exercise of power and blatant misuse of emergency provision of IPS Cadre Rule 1954. (1/3)
মুখ্যমন্ত্রী মনে করছেন, এই শক্তি প্রদর্শন রাজ্যের এক্তিয়ারে থাকা বিষয়ে জোর করে হস্তক্ষেপ ছাড়া কিছু নয়। এবং এইভাবেই এই রাজ্যের আইপিএস অফিসারদের মনোবল গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী দ্ব্যার্থহীন ভাষায় লিখেছেন, "নির্বাচনর আগে এই তোরজোর যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভাবধারাটির পরিপন্থী এবং অগণতান্ত্রিক । এই পদক্ষেপ কোনও ভাবেই মানা যায় না।"
This act is nothing but a deliberate attempt to encroach upon State’s jurisdiction & demoralize the serving officers in WB. This move, particularly before the elections is against the basic tenets of the federal structure. It's unconstitutional & completely unacceptable! (2/3)
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর তৃতীয় ট্যুইটটিতে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। লিখেছেন, কোনও ভাবেই কেন্দ্রের এই গা জোয়ারি মেনে নেওয়াও যাবে না। পশ্চিমবঙ্গ এই অসংসদীয় শক্তির সামনে মাথা নোয়াবে না।
We wouldn’t allow this brazen attempt by the Centre to control the State machinery by proxy! West Bengal is not going to cow-down in front of expansionist & undemocratic forces. (3/3)
প্রসঙ্গত রাজ্য কেন্দ্র সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন তিন আইপিএস অফিসার রাজীব মিশ্র, প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী ও ভোলানাথ পাণ্ডে। জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার প্রেক্ষিতেই গত ১২ ডিসেম্বর তাঁদের ডেপুটেশনে ডেকেছিল কেন্দ্র। রাজ্য তখনই অবস্থান স্পষ্ট করে। এর পরে আবারও এদিন তাঁদের ডেকে পাঠানো হয় রাজ্যকে চিঠি দিয়ে। এবার চিঠির সুর ছিল আরও কড়া। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবারের চিঠিটিকে বলে, রাজ্য যদি না অফিসারদের না ছাড়ে তাহলে ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের ৬ (১) ধারা লঙ্ঘন করা হবে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর তিন আধিকারিকের মধ্যে প্রেসিডেন্সি রেঞ্জের ডিআইজি প্রবীণ ত্রিপাঠিকে সশস্ত্র সীমা বল -এসএসবিতে ৫ বছরের জন্য ডেপুটেশনে পাঠানো হয়েছেহয়েছে। তাঁকে এসএসবির ডিআইজি পদে বদলি করা হচ্ছে। এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) রাজীব মিশ্রকে পাঠানো হচ্ছে ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশের আইজি পদে। তাঁকেও ৫ বছরের জন্য ডেপুটেশনে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডায়মন্ডহারবারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডেকে ব্যুরো অব পুলিশ রিসার্চ বিপিআরডি-তে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর ডেপুটেশনের মেয়াদ হবে ৩ বছর।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বাংলার অফিসারদের সঙ্গে এমন বেনজির সংঘাতে যাচ্ছে কেন্দ্র। এর আগে এই একই ঘটনা দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় রাজীব কুমারের দেখা মেলায়। তাকে সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রতে যোগ দিতে বলা হয়। কিন্তু আদৌ কি এভাবে আইপিএস-কে ডেপুটেশনে নিতে পারে কেন্দ্র? নানা জনের নানা মত। বিষয়টিকে শাস্তিমূলক হাতিয়ার করে তোলার বিরোধিতা করছেন অনেকেই। আবার বলা হচ্ছে, Rule 6(1) of the IPS cadre rules, 1954 অনুয়ায়ী এই ডেপুটেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার আছে কেন্দ্রের।