#কলকাতা: বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যে জয় হাসিল করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠান এবারও ভার্চুয়াল মাধ্যমেই হতে চলেছে। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালনের অনুষ্ঠান হতে চলেছে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কিভাবে পালন হবে সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, বেলা ২টায় ভার্চুয়াল জনসভায় যোগ দেবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটে বাড়ি থেকেই অথবা কোনও মঞ্চ থেকে অনলাইনে লাইভ ভাষণ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল ও ওয়েবসাইটে দলনেত্রীর সেই ভাষণ প্রচার করা হবে।
বেলা সাড়ে এগারোটায় একুশে স্মারকে (বিড়লা তারামণ্ডলের পাশে) মাল্যদান করবেন শীর্ষ নেতারা। বেলা এগারোটায় ধর্মতলার শহিদ স্মৃতি বেদিতে মাল্যদান করবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী সহ শীর্ষ নেতারা। বেলা বারোটায় বুথে বুথে তোলা হবে দলীয় পতাকা ।বেলা একটায় প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রে ভাষণ দেবেন স্থানীয় বিধায়করা। অঞ্চলে অঞ্চলে তাঁদের ভাষণ দিয়েই শুরু হবে একুশে জুলাই উদযাপন অনুষ্ঠান।এর পর দুপুর দুটোয় ভাষণ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জায়ান্ট স্ক্রিনে দলনেত্রীর ভাষণ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে দলের তরফে। এছাড়া ফেসবুক, ইউটিউব এবং দলের সব কটি অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই ভাষণ শোনা যাবে।ইতিমধ্যেই ২১শে জুলাই নিয়ে টিজার তৈরি করেছে তৃণমূল যুব কংগ্রেস।
২১ শে জুলাই, ১৯৯৩, তৎকালীন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভা নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৎকালীন কমিউনিস্ট মতবাদে বিশ্বাসী পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবিতে ছবি যুক্ত ভোটার কার্ডকে আবশ্যক করে তোলার দাবি নিয়ে রাইটার্স বিল্ডিং এর উদ্দেশ্যে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়েছিল। যদিও এই প্রতিবাদ মিছিল ছিল শান্তিপূর্ণ, পুলিশ প্রতিবাদীদের লাঠিচার্জ করা শুরু করে এবং শুরু হয় গুলি বর্ষণ। এই দিন এই প্রতিবাদ মিছিলে প্রাণ হারান ১৩ জন। বন্দন দাস, মুরারী চক্রবর্তী, রতন মন্ডল, বিশ্বনাথ রায়, কল্যাণ ব্যানার্জী, অসীম দাস, কেশব বৈরাগী, শ্রীকান্ত শর্মা, দিলীপ দাস, রঞ্জিত দাস, প্রদীপ দে, মহম্মদ খালেক, ও ইনু এই দিনের গুলি বর্ষণে শহীদ হন এবং আহত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসংখ্য অনুগামী। তৃণমূল যুব'র এক নেতা জানিয়েছেন, যদিও ওই দিন অবর্ণনীয় নির্মমতায় দিদির অসংখ্য অনুগামী শহীদ হয়েছিলেন, তাদের উদ্যমকে কিন্তু হত্যা করা যায়নি। স্বৈরাচারী বাম সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চলেছে, এবং ২০১১ সালে ৩৪ বছরের বর্বর বাম শাসনের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যমী সরকার।
তৃণমূল যুব সভাপতি সায়নী ঘোষ, জানিয়েছেব, এই ভিডিও তৃণমূল যুব কংগ্রেসের তরফ থেকে আমাদের সকলকে অমর এই শহিদদের আত্মত্যাগে অনুপ্রাণিত করার এক প্রচেষ্টা। এই ভিডিওতে শহিদদের পরিবারের কিছু পরিজন স্মৃতি রোমন্থন করেছেন সেই চরম দিনের ঘটনার। আমরা তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ যারা এই ভিডিওটির রূপায়ণে সাহায্য করেছেন। আমরা আশাবাদী যে ন্যায় ও সাম্যের পথে তৃণমূল কংগ্রেসের এই লড়াই প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলতে থাকবে।
ABIR GHOSHAL
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।