#কলকাতা: সাত সকালে, কাটা গ্যাসের গোডাউনে আগুন।সেই আগুনে গুরুতর ভাবে পুড়ে যখম দুই কর্মী । বুধবার সকালে গরফা থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে ওই গ্যাস গোডাউন আগুন লাগে । গোডাউনের মালিক রথীন দাস এটিকে কাঠের দোকান হিসাবে ব্যবহার করত। সঙ্গে রাম প্রসাদ হালদার (৩২) ও দীপু বেরাকে (২৪) ভাড়া দিয়েছিল। রাম প্রসাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের ডেলিভারি ম্যানের কাজ করতেন। সঙ্গে কিছু গ্যাস সিলেন্ডার জমা করতেন । গ্যাস সিলিন্ডার চড়া দামে বিক্রি করা হত। কখনও ছোট সিলেন্ডার কিংবা অটোতে গ্যাস ভরতে দেখা গিয়েছে ওদের।বুধবার ওই গোডাউনে গ্যাস সিলেন্ডার বের করার কাজ করছিল সে।সেই সময় একটি সিলেন্ডারে আগুন লেগে যায়। জোর শব্দ করে ফেটে যায় সিলেন্ডার।সঙ্গে সঙ্গে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।সেই আগুনে ওই দুজন গুরুতর জখম হয়।দেখতে পেয়ে,সঙ্গে সঙ্গে এলাকার লোকজন ও পুলিশ এসে দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। গোডাউনে যত সিলিন্ডার ছিল সেগুলো পেছনের খালে ফেলে দেওয়া হয়। যার ফলে নতুন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েনি।
ঘস্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন এই ঘটনায়।টনার পর ,থেকে গোডাউনের মালিক, রথীন দাস পলাতক। এলাকায় দেখা যায় বেশ কিছু গ্যাস সিলেন্ডার পাশের জলাশয়ে ভাসছে। সলকের একটাই বক্তব্য ,পুলিশের নাকের ডগার সামনে দিনের পর দিন ঘটন এমন ঘটনা, বেআইনি কারবারের কথা জানাতও পুলিশ৷ তারপরও এই নিয়ে কোনও মাথাব্য়থা ছিল না তাদের, এমনই অভিযোগ বাসিন্দাদের৷ শুধু এই গড়ফা থানার কাছে নয়, শহরের বিভিন্ন জায়গাতে এই ভাবে ঘন জন বসতির মধ্যে কাটা গ্যাসের কারবার চলে। প্রতিটা এলাকা জতুগৃহ হয়ে রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে বড় একটা বিপদ ঘটে যেতে পারে। দমকল পরে এসে আগুন সম্পূর্ন রূপে নিভিয়ে দেয়। তবে দমকলের আধিকারিকের কথায়, 'ঘরের ভেতরে প্রচুর গ্যাস সিলিন্ডার ছিল।আমরা যখন আসি তখন ঘরের সবকিছু, পেছনের জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।' যেহেতু খালের জায়গা তাই সেখানে কোনও ' ফায়ার লাইসেন্সের ' প্রশ্নই ওঠেনি। সন্ধে পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।