#ব্যারাকপুর: ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে শুরু হয়েছে ঘোষপাড়া রোড। আর এই ঘোষপাড়া রোড চলে গেছে পলতা, ইচ্ছাপুর, শ্যামনগর, নৈহাটি ,হালিশহর হয়ে কাঁচরাপাড়া পর্যন্ত। বহু পুরনো এই রাস্তা তখন কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে চালু হয়নি।
ফলে রাস্তা চওড়া খুব কম বড় করার কোনও ব্যবস্থা আর নেই৷ কারণ একদিকে রয়েছে প্রচুর জুট মিল, রয়েছে রাইফেল ফ্যাক্টরি, মেটাল এন্ড স্টিল ফ্যাক্টরি। তখনকার সময়ে নিয়ম মেনে কেউ বাড়ি করেনি ফলে একেবারে ফুটপাত বলে কিছুই নেই৷
রাস্তার গা ঘেঁষে রয়েছে দোতলা তিনতলা বাড়ি৷ এই রাস্তা দিয়ে চলে বাস-ট্যাক্সি লরি প্রতিদিন। তার ওপর রাস্তার বেহাল দশা। ইছাপুর কণ্ঠাধার মানিকতলা কালীতলা বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার পাশেই উত্তর বারাকপুর পৌরসভা তাদের প্রতিদিনকার বজ্র পদার্থ ফেলছে রাস্তার পাশেই হলে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই৷ দুর্গন্ধে মানুষের এমনিতেই নাজেহাল, তার ওপর সামান্য বর্ষা হলে সেই আবর্জনা চলে আসে রাস্তায়৷ সে সব নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় এলাকাবাসীদের৷
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারবার পুরসভাকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি৷ এই নিয়ে হয়েছে রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভ তাতেও কোনো ফল হয়নি। কবে এই যন্ত্রণা থেকে মানুষ মুক্তি পাবে, তা জানে না এলাকাবাসীরা। এ ব্যাপারে উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভার বর্তমান প্রশাসক মলয় ঘোষ বলেন, বিষয়টি তিনি দেখেছেন এবং জানেন৷ কিন্তু এই মুহূর্তে কিছু করার সম্ভবপর নয়। তবে তিনি সাধ্যমতো সাফাইকর্মীদের দিয়ে চেষ্টা করেন এলাকা পরিষ্কার রাখার৷
ARUN GHSOH