হোম /খবর /কলকাতা /
২৭ বছর পর স্কুটারে সওয়ার, মমতার আগে স্ত্রীকে বসিয়ে প্র্যাক্টিস ফিরহাদের

২৭ বছর পর স্কুটারে সওয়ার, মমতাকে চড়ানোর আগে স্ত্রীকে নিয়ে প্র্যাক্টিস ফিরহাদের

বৃহস্পতিবার মমতাকে স্কুটারে বসিয়ে নবান্নের পথে ফিরহাদ৷

বৃহস্পতিবার মমতাকে স্কুটারে বসিয়ে নবান্নের পথে ফিরহাদ৷

দক্ষ চালকের মতোই স্কুটারে চাপিয়ে বেশ কয়েক কিলোমিটার পথ পেরিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে নবান্নে পৌঁছে দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।

  • Share this:

#কলকাতা: তিনি দিদির সেনাপতি। তাই তিনিও দৌড়ে বেড়ান দিদির মতোই। যদিও তাঁর যাতায়াত গাড়িতে। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ফলে কনভয় নিয়েই এদিক-ওদিক চষে ফেলেন চেতলার ববি। তবে ইদানিং কালে কম সময়ে দূরের সময়ে মাঝে মধ্যেই ববিকে নিয়ে উড়ে যায় হেলিকপ্টার।

সেই ববি ওরফে ফিরহাদ হাকিম ইলেকট্রিক স্কুটার চালিয়ে হাজরা থেকে নবান্ন নিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবারের এই ছবি গোটা দেশ জুড়ে এখন ভাইরাল। আর এই ছবি দেখেই সবার প্রশ্ন, মন্ত্রী সাহেব কি তবে নিয়মিত স্কুটার চালান? কারণ দক্ষ চালকের মতোই স্কুটারে চাপিয়ে বেশ কয়েক কিলোমিটার পথ পেরিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে নবান্নে পৌঁছে দিয়েছেন।

ফিরহাদ হাকিম অবশ্য জানাচ্ছেন, "প্রায় ২৬-২৭ বছর পরে স্কুটার চালালাম। আগে স্কুটার নিয়ে কলকাতা চষে ফেলতাম। কোথায় যাইনি স্কুটার নিয়ে। এখন আর সেটা হয়ে ওঠে না। দিদি বলল তাই আবার চালালাম।"

মুখ্যমন্ত্রীকে পিছনের আসনে বসিয়ে স্কুটার চালানো নিয়ে তাই কিছুটা হলেও টেনশন ছিল মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের চেহারাতেও। তবে তিনি আগের দিন রাতে স্কুটার চালিয়ে বারবার দেখে নিয়েছিলেন। আর সেই পর্বে তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী। খানিক নস্টালজিক হয়ে গিয়েই ববি জানালেন, "বিয়ের পর বহুবার আমরা স্কুটারে চেপে বেড়িয়েছি। সোনারপুর, বারুইপুর, আমতলা গিয়েছি। আমতলা যেতাম কারণ ওখানে উত্তম-সুচিত্রার 'এই পথ যদি না শেষ হয়' গানের দৃশ্যের শ্যুটিং হয়েছিল বলে। পুরনো সব দিনের কথা মনে করে বউকে নিয়ে চেতলা থেকে নবান্ন দু'বার করে পাক দিয়েছিলাম।"

ব্যাস তাতেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সৈনিক ফিরহাদ হাকিম। যিনি পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাতে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে স্কুটার চাপিয়ে নিয়ে গেলেন নবান্ন। নবান্ন থেকে ফেরার পথে মমতা বন্দোপাধ্যায় যে স্কুটারটি চালালেন সেটি  ব্যাটারিচালিত। দাম প্রায় ৬০ হাজার টাকা। ঘন্টায় ২৫ কিমি গতিবেগে এটি চালানো যায়৷ এর গতি কম থাকায় এই ই-স্কুটারের জন্যে দরকার পড়ে না লাইসেন্সের। এমন কি, পরিবহণ দফতরেও রেজিষ্ট্রেশন করতে হয় না। খরচও অনেক কম। দিনে ৫ ঘণ্টা চার্জ দিতে হয়। তাহলেই প্রায় ৬৫ কিমি চলে এই ব্যাটারি স্কুটার। প্রতি কিলোমিটার যেতে খরচ পড়ে মাত্র ২৫ পয়সা মতো। ফলে পেট্রোল-ডিজেলের চড়া দামের প্রতিবাদ জানাতে এটাই ছিল পরিবহণের অন্যতম মাধ্যম। পুনশ্চঃ ব্যাটারি স্কুটার নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।

Abir Ghosal

Published by:Debamoy Ghosh
First published:

Tags: Firhad Hakim, Mamata Banerjee