#কলকাতা: দিনভর টানাপোড়েন৷ গ্রেফতারির পর জামিন পেয়েও ফের তার উপরে স্থগিতাদেশ৷ রাতে সিবিআই অফিস থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়ার সময় তাই প্রকাশ্যেই খানিকটা ভেঙে পড়লেন পরিবহণমন্ত্রী এবং কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিম৷ কার্যত কেঁদে ফেলে ফিরহাদ বলেন, 'কলকাতার মানুষকে আমি বাঁচাতে পারলাম না৷'
সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফিরহাদ হাকিমকেও সোমবার সকালে নারদ কাণ্ডে গ্রেফতার করে সিবিআই৷ সন্ধ্যায় সিবিআই স্পেশ্যাল কোর্টে চারজন জামিন পেলেও রাতে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করে৷ ফলে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় ফিরহাদ হাকিম সহ চার জনকেই৷
প্রেসিডেন্সি জেলে ঢোকার সময় ক্ষুব্ধ ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'বিজেপি টাকা দিয়ে সবাইকে কিনে নিতে পারে৷ কিন্তু বিচার বিভাগের উপরে আমাদের ভরসা রয়েছে৷ এর পর হয়তো ইডি-কে আমাদের পিছনে লাগানো হবে৷ আমার দোষটা কোথায়? সিবিআই আমাকে যতবার ডেকেছে আমি এসেছি৷ আমি সিবিআইকে সহযোগিতা করিনি? ভাল ব্য়বহার করিনি? কেন আমাকে আমার জামিনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে হবে? আমি জনপ্রিয় এটা তো আমার দোষ নয়৷ মানুষ আমাকে ভালবাসে বলে আমার জন্য এতজন এখানে এসেছে৷ তবে বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে আমরা ন্যায়বিচার পাবো, মুক্তি পাবো৷'
এর পরেই হতাশার সুরে ফিরহাদ বলেন, 'আমাকে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল৷ যাতে করোনা অতিমারির মধ্যে দাহকার্য, টিকাকরণ, পরীক্ষা, স্যানিটাইজেশনের কাজ ঠিক মতো চলতে পারে৷' কিছুটা থেমেই এর পর কান্নাভেজা গলায় ফিরহাদ বলেন, 'কলকাতার মানুষকে আমি বাঁচাতে পারলাম না৷'
সূত্রের খবর রাতে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে প্রায় কিছুই খাননি ফিরহাদ হাকিম৷ সকালে সামান্য চা, জলখাবার খান তিনি৷ এ দিন সকালে জেলে গিয়ে ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করেন তাঁর মেয়ে শাবা হাকিম এবং আইনজীবী গোপাল হালদার৷ পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর মেয়ে শাবা দাবি করেন, কলকাতার মানুষের জন্য কাজ করতে না পেরেই বেশি ভেঙে পড়েছেন ফিরহাদ৷ যদিও ফিরহাদের আইনজীবী দাবি করেন, সকালে জ্বর এসেছে পরিবহণমন্ত্রীর৷ তাঁকে জেল হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Firhad Hakim, Narada Scam, TMC