#কলকাতা: ওঁরা চাষ করে। খেতে সোনা ফলায়। শস্যশ্যামলা বাংলায় মাঠে হাল ধরে ওঁরা। লকডাউনে সব থেমে গিয়েছিল। তবে এখন লকডাউনে চাষের কাজে ছাড়। তাই সপ্তাহের শুরুতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু কৃষিকাজ। খুলেছে চা বাগানও।
মাঠে মাঠে বেলা কাটে। সকাল থেকে সন্ধে। ওঁরা চাষ করেন আনন্দে। রোদে পুড়ে, জলে ভিজে ওঁরা সোনা ফলান। শস্যশ্যামলা বাংলায় সবার মুখে অন্নের জোগান দেন। এসবই বন্ধ ছিল। লকডাউনে বন্ধ ছিল সব। তবে লকডাউনে আপাতত এদের ছাড় মিলেছে। লকডাউনে সামাজিক দূরত্ব মেনে কৃষিকাজে ছাড়। তাই আবার চাষের জমিতে ব্যস্ততা শুরু হয়েছে। দুশ্চিন্তা ঘুচিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন কৃষকরা।
সামাজিক দূরত্ব মেনে চাষ শুরু করলেন সিঙ্গুরের কৃষকরা। শুরু হয়েছে ধান ও সবজি চাষ। তবে খেতমজুররা বিভিন্ন জেলায় আটকে থাকায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে।
মালদহে পটল, বেগুন-সহ বিভিন্ন সবজি চাষ শুরু হয়েছে। এতদিন পরিচর্যার অভাবে চাষের জমিতে আগাছা জন্মেছে। এখন আগাছা তুলে নতুন করে চাষ শুরু করেছেন কৃষকরা। সিউড়ির পুরন্দরপুরেও বিভিন্ন ধানজমিতে আবার চাষের ব্যস্ততা।
হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরেও শুরু হেয়ছে চাষবাস। গজা ও হরালি গ্রামে টমেটো, বেগুন, ঢ্যাঁড়শ-সহ একাধিক সবজির চাষ শুরু হয়েছে। তবে হাওড়া ও কলকাতার একাধিক মার্কেট বন্ধ থাকায় সবজি বিক্রি নিয়ে চিন্তায় কৃষকরা।
দুই পাতা এক কুড়ির বাগানেও কাজের খুশি। ডুয়ার্সের গয়েরকাটা চা বাগান খোলা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব মেনেই চা শ্রমিকরা কাজ করছেন। ব্যবহার করছেন মাস্ক ও স্যানিটাইজারও।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একশ দিনের কাজেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রকোণা এক নম্বর ব্লকের তিন নম্বর মাগরুল পঞ্চায়েতের নিচনা গ্রামে ১০০ দিনের কাজে ক্যানাল সংস্কার চলছিল। লকডাউনের পর তা থমকে যায়। ফের ক্যানাল সংস্কার শুরু হয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Farming, Lockdown