#নৈহাটি: রক্তক্ষরণ হলেও লড়াই থেমে থাকবে না। থামতে পারে না। মরণপণ লড়াই চলবেই। নভেল করোনা ভাইরাস ঠেকাতে চিকিৎসকদের মৃত্যু মিছিল চলছে বিশ্বজুড়েই। এ রাজ্য তার ব্যতিক্রম নয়। রাজ্যে ইতিমধ্যেই ২৫ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত হয়ে। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন হিরণ্ময় ভট্টাচার্য।
লকডাউনের সময়ে একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে ভয় না পেয়ে সংক্রমণকে দূরে সরিয়ে চেম্বার করতেন হিরণ্ময় ভট্টাচার্য। এক সময়ে মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে তিনি নৈহাটিতে রোগী দেখতেন। সে সময়ে পেশার জগতে তাঁকে প্রচুর সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছিল। কিন্তু বাবাকে দেওয়া কথা তিনি রেখেছিলেন। তাই বাবার মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত তিনি পাঁচ টাকাতেই রোগী দেখেছেন। তবে গরীব মানুষ বা কোনো বন্ধুর মুখে একবার রোগীর অবস্থার কথা শুনে নিলে রোগীর পরিবারের কাছ থেকে একটিও পয়সা নিতেন না। গত দু’বছর হল তিনি নৈহাটির তালপুকুর রোডের পুরনো বাড়ি ছেড়ে বেলঘড়িয়ার ডানলপে ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে ছিলেন। কিন্তু প্রতিদিন নিয়ম করে নৈহাটিতে এসে রোগী দেখতেন।
করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর গত শনিবার তিনি বেলঘড়িয়ার জেনিথ নামে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার তাকে ই এম বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে স্হানান্তরিত করা হয়। সেখানে পরপর দুবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বা হার্ট অ্যাটাক হয় এই চিকিৎসকের। সোমবার রাত ৮.৩০ মিনিট নাগাদ এই জনপ্রিয় চিকিৎসকের মৃত্যু হয়।
অসুস্থ হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি রোগী দেখে গেছেন।গোটা লকডাউন এর সময় জুড়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন নৈহাটির ' বিধান রায় ' হিরণ্ময় ভট্টাচার্য। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই চিকিৎসকের অকালে চলে যাওয়ার খবরে নৈহাটি ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি রেখে গেলেন বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও তিন বছরের একমাত্র মেয়েকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: COVID19