#কলকাতা: প্রয়াত প্রাক্তন সাংসদ কৃষ্ণা বসু। শনিবার সকালে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে জীবনাবসান হয় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ কৃষ্ণা বসুর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ ছিলেন কৃষ্ণা বসু।
১৬ ফেব্রুয়ারি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
হাসপাতাল থেকে দেহ যাবে ‘বসু ভবনে’। দুপুর ৩টে পর্যন্ত বাসভবনে থাকবে দেহ। ৩টের পর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়ে 'নেতাজি ভবন'-এ।রাত ৮টা পর্যন্ত 'নেতাজি ভবন'-এ থাকবে দেহ। সেখান থেকেই শেষযাত্রা।
কেওড়াতলাতে শেষকৃত্য কৃষ্ণা বসুর।১৯৯৬, ১৯৯৮, ২০০৪... টানা ৩ বার সাংসদ ছিলেন কৃষ্ণা বসু। ৩ বারই যাদবপুর থেকে জয়ী হন। ১৯৯৬-এ কংগ্রেসের প্রতীকে প্রথমবার সাংসদ,১৯৯৬-৯৮ সাংসদের দায়িত্ব পালন, ১৯৯৮ তৃণমূলের প্রতীকে জয়,১৯৯৮-৯৯ তৃণমূলের সাংসদ, ১৯৯৯-২০০৪ তৃতীয়বার সাংসদের দায়িত্ব পালন করেন।
প্রায় ৪০ বছরের শিক্ষকতার জীবন কৃষ্ণা বসুর। ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপিকা ছিলেন। ছিলেন শিবনাথ শাস্ত্রী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা বসু। যুক্ত ছিলেন নেতাজি বিষয়ক গবেষণার কাজে । পাশাপাশি ছিল সঙ্গীত বিশারদ ডিগ্রি । একাধিক বই লিখেছেন কৃষ্ণা বসু, রয়েছে তাঁর লেখা ছোটদের নিয়েও বই। তাঁর লেখা শেষ বই 'এমিলি অ্যান্ড সুভাষ'। লিখেছেন লস্ট অ্যাড্রেস, রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে বড় হয়ে ওঠা, অ্যান্ড আউটসাইডার ইন পলিটিক্স, হারানো ঠিকানা, যে তরণীখানি, স্মৃতি-বিস্মৃতি, চরণরেখা তব, প্রসঙ্গ সুভাষচন্দ্র বসু। ছোটদের জন্য লিখেছেন বুম্বিটোর অ্যাডভেঞ্চার, এক নম্বর বাড়ি, ইতিহাসের সন্ধানে।
১৯৫৫ সালে শিশির বসুর সঙ্গে বিয়ে হয় কৃষ্ণা বসুর। ৩ সন্তান সুমন্ত্র বসু, সুগত বসু ও শর্মিলা বসু।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Krishna basu death