#কলকাতা: রাজ্যে বিধানসভা ভোটের তৎপরতা জোরকদমে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসা শুরু করেছে রাজ্যে। এই প্রথম নির্বাচনে নির্ঘণ্ট জারি হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকতে শুরু করেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। একদিকে যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকতে শুরু করেছে অন্যদিকে ১০ মার্চের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন বুথগুলি ভোটের জন্য প্রস্তুত করার চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন।
কমিশন সূত্রে খবর শুক্রবারই ভিডিও কনফারেন্স করে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক এমন নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের সব জেলাশাসকদের। বিশেষত বুথগুলির শৌচাগার,বিদ্যু্ৎ সরবরাহ ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন পরিকাঠামো এই সময়সীমার মধ্যে প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন । যদিও এর আগেও জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনের কাজে ব্যবহৃত বুথগুলির চূড়ান্ত প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।
কমিশন সূত্রে খবর জাতীয় নির্বাচন কমিশন থেকে রাজ্য বিধানসভা ভোটের কতটা প্রস্তুতি হয়েছে সেই বিষয় নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। তারপরই কমিশনের তরফ এ চূড়ান্ত ভাবে বুথ গুলির প্রস্তুতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ইতিমধ্যেই বেড়েছে বুথের সংখ্যা। ১ লক্ষেরও বেশি বুথে এবারের ভোটগ্রহণ হতে চলেছে। শুধু তাই নয়, এবারের বুথগুলি একতলাতেই করতে হবে বলে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে ভোট হবে তা নিয়ে একাধিক গাইডলাইন ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে। বিশেষত যাঁরা ভোট কর্মী তাঁদের টিকাকরণের কর্মসূচি ৬ মার্চের মধ্যে শেষ করতে হবে বলে ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসকদের। সেই মোতাবেক প্রস্তুতিও শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
সে ক্ষেত্রে ১০ মার্চের মধ্যেই বুথ গুলির প্রস্তুতির কাজ সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া মাত্র জল্পনা শুরু হয়েছে তাহলে মার্চ মাসের শেষ দিক থেকেই কি ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হয়ে যাবে? কমিশন সূত্রে খবর, যেহেতু যে কোনও দিন ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতে পারে তাই যাবতীয় প্রস্তুতি এখন সেরে ফেলাটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কমিশনের কাছে। অন্যদিকে শনিবার থেকেই রাজ্যে আসতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যাতে সক্রিয়ভাবে কাজে লাগানো হয় তার জন্য ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু করেছে বিজেপিও। শনিবারই বিজেপি নেতৃত্ব মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর যথাযথ মোতায়েন নিয়ে চাপ বাড়িয়েছে। এদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করার পর রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, 'আমরা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে জানিয়ে এসেছি যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী জাতীয় সড়ক বা রাস্তাতেই ঘুরে না বেড়ায়। বিভিন্ন সংবেদনশীল অঞ্চলেও যাতে তাদেরকে টহলদারি করানো হয় সেই বিষয়েও মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।'
Somraj Bandopadhyay