#কলকাতা: রাজ্যের ৫ টি আসনে উপ নির্বাচন আর ২ টিতে সাধারণ নির্বাচন পুজোর আগে করা অসম্ভব নয়। রাজ্যে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরের এক আধিকারিকের মতে, সময় কম হলেও কমিশন চাইলে ভোট হতেই পারে। সবটাই নির্ভর করছে কমিশনের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকদের ওপর। যে কোন সময়ে নির্দেশ আসতে পারে ধরে নিয়ে ভোটের প্রাথমিক কাজ ইতিমধ্যেই সেরে ফেলা হয়েছে। এখন শুধু "গো অ্যাহেড" বলার অপেক্ষা। তাহলেই শুরু হয়ে যাবে ফাইনাল ল্যাপের দৌড়। তবে, ভোট নিয়ে প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলির কাছে মতামত জানতে চাওয়ায়, ভোটের সম্ভবনা বাড়ছে বলেই মনে করছে কমিশনের একাংশ।
১) কোনঠাসা, ছন্নছাড়া দল ও সংগঠনকে ভোটের নামে উজ্জীবিত করা যাবে
২) দলের অভ্যন্তরে গোষ্ঠী কোন্দল ও টালমাটাল অবস্থা সামাল দেওয়া যাবে
৩) রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের সম্ভবনা না থাকা সত্বেও, শুধু মুখ্যমন্ত্রীকে জেতানোর জন্য মানুষকে কোভিড বিপদের মধ্যে নতুন করে ঠেলে দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করা যাবে।
৪) কোভিড সত্বেও, ভোটের পক্ষে বিজেপি ছাড়া রাজ্যের বাকি সব দল। সেই প্রশ্নে সিপিএম, কংগ্রেস সহ বাকি দলগুলিকে তৃণমূলের সঙ্গে এক বন্ধনিতে ফেলে রাজনৈতিক আক্রমন করতে পারবে বিজেপি।
৫) সর্বোপরি, থার্ড ওয়েভের জেরে যদি সত্যিই রাজ্যে সংক্রমণ বাড়ে, তার রাজনৈতিক লাভ ওঠাতে পারবে বিজেপি। সূত্রের খবর, আপাতত, এই সব সম্ভবনার ভাল- মন্দ নানা দিক নিয়েই চর্চা চলছে বিজেপির অন্দরে।
যদিও বিজেপির একটা অংশ শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্বের বিষয়টিকে বড় করে দেখছে। ৬ মাসের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে জিতে আসতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর আগে ভোটে না হলে নভেম্বরেই সেই মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। মমতাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে একদিনের জন্য সরানো গেলেও তা নৈতিক জয় হিসেবে দেখবে বিজেপির ওই অংশ। ফলে বিজেপির অন্দরে এখনই নির্বাচন চাই না অংশও কম নেই।
কিন্তু, প্রশ্ন একটাই, ৩০ অগস্ট কমিশন রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসনের রিপোর্ট হাতে পেলে, পূজোর আগে ভোট করার মত সময় কি পাবে? কমিশনের এক আমলার মতে, অসম্ভব নয়। কারণ,১) কমিশনের নির্দেশ পেলে সাকুল্যে ২৩ দিনের মধ্যে ভোট করা যেতে পারে।
২) কোভিড পরিস্থিতিতে প্রচারের সময় মাত্র ১ সপ্তাহই যথেষ্ট বলে কমিশনকে জানিয়েছে শাসক দল তৃণমূল। কমিশনও মনে করে, সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের পর, উপ নির্বাচন একটা নিয়মরক্ষার মত। ফলে, প্রচারের জন্য ১০-১৫ দিনের স্বাভাবিক মেয়াদ কাট ছাঁট করতেই পারে কমিশন। আর, সেটা হলে সেপ্টেম্বরের শুরুতে দিন ঘোষণা করে সেপ্টেম্বরের শেষে বা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ভোট হতেই পারে।কারণ, এই নির্বাচন গোটা রাজ্যজুড়ে নয়, সংশ্লিষ্ট বিধানসভা ক্ষেত্রগুলিতেই তার প্রভাব থাকবে।
অক্টোবর পুজোর মাস হলেও, ৬ অক্টেবর মহালয়া ও ১২ অক্টোবর পুজোর শুরু। ফলে, তার আগে নির্বাচনের জন্য একটা দিন আর গণনার জন্য একটা দিন বার করা অসম্ভব নয়। তবে, মুখে স্বীকার না করলেও, সবাই জানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দলের বোঝাপড়াকেও গুরুত্ব দিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হয় কমিশনকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।