আশ্বিনের শারদ প্রাতের জন্যেই যেন বাঙালির বসে থাকা সারা বছর! কবে যে আলোর বেণুটি বেজে উঠবে চরাচর জুড়ে আর ভুবন মেতে উঠবে আনন্দে, সারা বছর জুড়ে চলে তারই প্রতীক্ষা!
তা, সেই বহু অপেক্ষার শরত ঋতু এল, মাঠভরা কাশফুল এল, আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘও এল। কিন্তু পুজোর মেজাজ এ বছর নেই। করোনা অতিমারীর আবহে পুজোর সেই চেনা ছন্দ নেই, পুজো-পুজো গন্ধটুকুও কেমন যেন ম্লান হয়ে গিয়েছে। তবু বাঙালির জাতীয় উৎসব বলে কথা, উৎসাহ তাই বাধা মানতে চাইছে না!
যতই প্রতি বছর আসুক না কেন, দুর্গাদেবীর এই শারদীয়া উৎসবকে নিয়ে বাঙালির উন্মাদনা কমে না কখনও। আজ পঞ্চমী। সায়ংকালে মায়ের বোধনও হয়ে যাবে প্রথা মেনেই। সে অন্যান্য বারের মতো সাজো-সাজো রব যতই উধাও হোক পাড়ার মণ্ডপ থেকে। আসলে তো বাঙালির জীবন আর সংস্কৃতিযাপনের সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে জড়িয়ে থাকেই দুর্গাপুজো। ধর্মীয় নয়, বরং সামাজিক যাপনেরই অংশ এই শারদোৎসব। তাই বিষাদের মধ্যেও, প্রিয়জনের অসুস্থতা, চাকরিহীনতা, নিকটাত্মীয়ের মৃত্যুশোকের মধ্যেও মা আসছেন। প্রার্থনা শুধু এই তাঁর কাছে- সবার যেন এ বারের পুজো কাটে নির্বিঘ্নে!
আর পাঠকের কাছেও আমাদের প্রার্থনা- এ বছরটা যতটা সম্ভব, পুজো কাটান ঘরে বসেই! প্রিয়জনদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন, আড্ডা মারুন, তবে ঘরের বাইরে বেশি যাবেন না। মেনে চলুন স্বাস্থ্যবিধি। এই অবস্থায় বাড়ির বয়স্ক এবং বাচ্চাদের নিয়ে একেবারেই বাইরে বেরোবেন না। নিতান্ত প্রয়োজনে বাইরে বেরোতে হলে মাস্ক পরুন, স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।বরং এ বার মুঠোফোনেই কাটুক চারটে দিন। তাই ছন্দ মিলিয়ে কাছের মানুষদের সঙ্গে শেয়ার করার মতো কিছু শুভেচ্ছাবার্তা রইল পাঠকদের জন্য।
১. মা-ও এ বার মাস্ক মুখে,হাত ধোওয়া চাই সাবান মেখে।
২. মাঠ ভরা কাশ, মেঘের ভেলা,বসবে এ বার পুজোর মেলা,তাই না কি ভাই? করোনা শেষ?কক্ষনও না, ঘরেই বেশ!
৩. ঢাকে কাঠি পড়েই গেল,বছর পরে উমা এল,করোনাকালে সাবধান-বেরোতে হলেই ব্যবধান!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।