#কলকাতা: সকাল থেকে সেজে উঠেছিল কবরডাঙার মোড়ের ইডেন টলি সিগনেচারে চক্রবর্তীদের বাড়ি। সকলে অধীর অপেক্ষায় ছিলেন কতক্ষণে বাড়িতে আসবে 'উমা'। সূর্য পশ্চিমে ঢলতেই এল 'ঘরের মেয়ে'।
পুজো আসছে। আর মাত্র কয়েক সপ্তাহের অপেক্ষা। কিন্তু কালই শুরু হয়ে যাচ্ছে ভাদ্র মাস। তারপরে আশ্বিন আবার মলমাস। তাই কোনও দেরী না করে রবিবার দুপুরে কুমোরটুলি থেকে কবরডাঙার বাড়িতে উমা'কে নিয়ে যান বাড়ির সদস্যরা। গণেশ চতুর্থীর দিন হবে প্রাণ প্রতিষ্ঠা।
কয়েক মাসে অনেকটা বদলে গিয়েছে আমাদের চারপাশ। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি, মৃত্যু মিছিল, সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক, স্যানিটাইজারেই আবদ্ধ হয়ে গিয়েছে আমাদের জীবন। আট থেকে আশির এখন একটাই প্রার্থনা, আবার সব আগের মতো হয়ে যাক। করোনার ভ্যাকসিন আসুক। সুস্থ হয়ে উঠুক মানুষ। কমে যাক মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ।
করোনার জন্য বিয়ে থেকে পুজো, সামাজিক যে কোনও অনুষ্ঠানে মানতে হচ্ছে প্রোটোকল। যাতে সংক্রমণ আর ছড়িয়ে না পড়ে। কলকাতার দুর্গাপুজোও এবার হবে একেবারে কোভিড প্রোটকল মেনে। সম্ভবত সেই তালিকাতেই থাকবে বাড়ির পুজোও। কিন্তু প্রতিমা বাড়ি নিয়ে যেতে তো আর বাধা নেই! পরিবারের কর্ত্রী শীর্ষা চক্রবর্তী বলেন, "আগামিকাল ভাদ্র মাস পড়ে যাচ্ছে। তারপরে আশ্বিন মলমাস, মা-কে আনা যাবে না। কার্ত্তিকে বড্ড তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে। তাই আগে থেকেই ঘরের মেয়েকে ঘরে নিয়ে এলাম।" তবে এই সবই সম্ভব হয়েছে শিল্পী মিন্টু পালের জন্য, তা এক বাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন শীর্ষা। বলেন, "মিন্টু দা মা-কে সাজিয়ে না দিলে এটা সম্ভবই হত না, তাই সব কৃতিত্ব তাঁরই।"
চক্রবর্তী পরিবারের পুজো এবারে ১২ বছরে পড়ল। বাড়ির মেয়েকে স্বপ্নে পেয়েছিলেন গৃহকর্ত্রী শীর্ষা চক্রবর্তী। বলেন, "বাপের বাড়ি নদিয়ায় বাদকুল্লায় বড় করে পুজো হয়। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে হত না। প্রতিবছর তাই পুজোটা ওখানেই কাটাতাম। একবার পুজোর ঠিক আগে নাচের অনুষ্ঠানে গিয়ে মেয়ের অ্যাক্সিডেন্ট হয়। ফলে ঠিক করেছিলাম সেইবার বাড়িতে যাব না। কিন্তু মেয়ে নাছোড়। বলেই বসল বাড়িতেই পুজো করব। তারপর মা-কে স্বপ্নে পেয়েছিলাম। সেইবারে পুজো শুরু, তারপর থেকে চলছে।"
SHUBHAGATA DEY
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Durga Puja 2020