#কলকাতা: বিস্তর আলাপ আলোচনা। যুক্তি আর পাল্টা যুক্তির মধ্যেই জুলাই মাসে সমস্ত বেসরকারি বাস সংগঠন রাস্তায় বাস নামিয়েছে। তারই মধ্যে লকডাউন আর কন্টেইনমেন্ট জোনের কারণে ফের শহরে কমতে শুরু করে দিল বেসরকারি বাস। সপ্তাহের প্রথম দিন যে সংখ্যক বেসরকারি বাস রাস্তায় নেমেছে তা ১৫০০ এর কাছাকাছি। বাস মালিকদের তরফে জানানো হয়েছে, এই সংখ্যক বাসেও যাত্রী হচ্ছে না। ফলে আগামী বেশ কয়েকদিন রাস্তায় আদৌ বাস নামানো যুক্তিযুক্ত হবে কিনা তা নিয়ে তারা নিজেরাই সংশয়ে রয়েছেন।
বাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে রাস্তায় কম বেরোচ্ছেন যাত্রীরা। এই অবস্থায় সংগঠনের নেতাদের জোর করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আনলক অধ্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে বিগত ১০ দিনের মধ্যে রাস্তায় বাসের সংখ্যা ছুঁয়েছিল প্রায় ৩০০০। সরকারের তরফেও প্রায় ১৮০০ বাস রাস্তায় নামানো হয়৷ কিন্তু নতুন করে লকডাউন এটা জানার পরেই গত শুক্রবার থেকে বেসরকারি বাসের সংখ্যা এক ধাক্কায় ১৮০০ কাছাকাছি চলে এসেছে। সব চেয়ে বেশি বাস কমেছে কলকাতা উত্তর ও শহরতলির দিকে। কারণ কন্টেনমেন্ট জোনের মধ্যে দিয়ে বাস চালাতে রাজি নয় বাস সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বোস জানাচ্ছেন, "পরিবহণ দফতরের সাথে কথা বলেছি। বাস উত্তরের দিকে বেশি কমে গেছে। কারণ এখানের অনেক রুট আছে কন্টেনমেন্ট জোনের মধ্যে।" মিনিবাস অপারেটর কো অর্ডিনেশন কমিটির সম্পাদক স্বপন ঘোষ বলেন, "২০০ কাছাকাছি বাস নেমেছিল। একটা করে সকালে আর একটা ট্রিপ বিকেলে করে বাস বসে গেছে।" এদিন ধর্মতলা, বাগবাজার, গোলপার্ক সহ একাধিক জায়গায় ঘুরে দেখা গেল বিভিন্ন স্ট্যান্ডে বাস দাঁড়িয়ে আছে। কোথাও কোথাও দেখা গেল বাস তালাবন্ধ করে কর্মীরা চলে গিয়েছেন।
শুধু বেসরকারি বাস কমা নয়। সরকারি বাস লক্ষ্যণীয় ভাবে কম চলেছে। কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে যে সংখ্যক সরকারি বাস রাস্তায় নেমেছে তাতে প্রচুর যাত্রী হচ্ছে না। ফলে শহীদ মিনার বাস স্ট্যান্ড, ময়দান ট্রাম লাইন বা ইডেন গার্ডেনের সামনের মাঠে দাঁড়িয়ে আছে বহু সরকারি বাস। সরকারি আধিকারিকদের ব্যাখ্যা, যাত্রী না হলে দামি ডিজেল পুড়িয়ে কি লাভ হবে? জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দোপাধ্যায়ের দাবি, "অনেক চালক ভয়ে চাবি আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে গেছেন। তারা ভয় পাচ্ছেন যদি তাদের করোনা হয়।" দাবি উড়িয়ে দিচ্ছেন না বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির নেতা রাহুল চ্যাটার্জি। তিনি জানাচ্ছেন, "ভয় তো একটা আছেই। অনেকেই আবার বাস রেখে দিয়ে চলে গেছেন। বাস মালিকরা তা জানে না।" বিশেষ করে বারাসাত থেকে হাওড়া, ব্যারাকপুর থেকে কলকাতা বা হাবড়া থেকে ধর্মতলা রুটে যে সব বাস চলে সেখানে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে করোনার ভয়ে এবার বাস কমতে শুরু করে দিল কলকাতায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bus service, Kolkata, Less Passengers, Lockdown, Private Buses