হোম /খবর /কলকাতা /
জমির অভাব, রাজ্যে বন্ধ হতে পারে ইস্ট-ওয়েস্ট হাইওয়ে করিডরের কাজ  

জমির অভাব, রাজ্যে বন্ধ হতে পারে ইস্ট-ওয়েস্ট হাইওয়ে করিডরের কাজ  

উত্তর প্রদেশের লখনউতে ধর্ষণ শিকার হয়ে ৮০০ কিলোমিটার দূরে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে এফআইআর দায়ের করলেন নির্যাতিতা! সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নেপালের নাগরিক এক মহিলা নাগপুরের কোরাডি পুলিশ স্টেশনে এই ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন৷

উত্তর প্রদেশের লখনউতে ধর্ষণ শিকার হয়ে ৮০০ কিলোমিটার দূরে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে এফআইআর দায়ের করলেন নির্যাতিতা! সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নেপালের নাগরিক এক মহিলা নাগপুরের কোরাডি পুলিশ স্টেশনে এই ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন৷

ইস্ট ওয়েস্ট হাইওয়ে করিডর, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প দুটি ভাগে বিভক্ত

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা: ফের জমির সমস্যা। আবারও রাজ্যে আটকে গেল প্রকল্পের কাজ। বাধা পেল জাতীয় সড়কের পরিকাঠামো তৈরির কাজ৷ অবস্থা এমনই প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। জাতীয় সড়ক মন্ত্রালয় সূত্রে খবর, রাজ্যে বন্ধ করা হতে পারে ইস্ট-ওয়েস্ট হাইওয়ে করিডরের কাজ। জমির অভাবে কাজ আটকে রাজ্যে। শিলচর থেকে পোরবন্দর অবধি ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর বানানোর কাজ শুরু হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের কাজের সূচনা করেছিলেন। রাজ্যে এই প্রকল্পের বাজেট ১৮০০ কোটি টাকা। এন এইচ এ আই (NHAI) সূত্রে খবর, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় জমির অভাবে আটকে গেছে কাজ।

ইস্ট ওয়েস্ট হাইওয়ে করিডর, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ  এই প্রকল্প দুটি ভাগে বিভক্ত। প্রথম অংশ ধূপগুড়ি থেকে সালসাবাড়ি। এই অংশের মোট দুরত্ব ৭২ কিমি। তার মধ্যে ধূপগুড়ি থেকে ফালাকাটার দুরত্ব ২৯ কিমি। এই অংশে চলছে একদিকে জমি অধিগ্রহণ ও DPR বানানোর কাজ। যদিও জমি অধিগ্রহণের কাজ এখনও চলছে অত্যন্ত শ্লথ গতিতে। ফলে প্রকল্পের কাজ নিয়ে সংশয়। অন্যদিকে, অপর অংশ হল ধূপগুড়ি বাইপাস তৈরি। অভিযোগ এখানে সাধারণ মানুষ সমীক্ষার কাজটাও করতে দিচ্ছেন না। ফলে সেখানেও জমি অধিগ্রহণের কাজ ঘিরে সংশয় তৈরি হয়েছে।

এই প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশ হল ফালাকাটা থেকে সালসাবাড়ি।এই অংশের দুরত্ব হচ্ছে ৪৩ কিলোমিটার। এখানে মাত্র ১৭ কিলোমিটার অংশে জমি মিলেছে। বাকি ২৬ কিমি অংশে আদৌ জমি পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে সংশয়।  জানুয়ারি ২০১৯ সালে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। যদিও জমির অভাবে কাজ না এগোনোয় ঠিকাদার সংস্থা কাজ বন্ধ করে দিতে চাইছে।

এন এইচ এ আই'য়ের জেনারেল ম্যানেজার আর পি সিং জানিয়েছেন, "জেলাশাসকদের একাধিক বার জমির বিষয়ে বলা হয়েছে। আমরা বহু বার আলোচনা করেছি। যদিও সমস্যার সমাধান হয়নি এখনও অবধি।" জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, "প্রকল্পের কাজে ভীষণ রকম দেরি হয়ে গেছে। তাই জলদি যদি সমস্যা না মেটে তাহলে কাজ বন্ধ হতে পারে এই প্রকল্পের।" যে সমস্ত জমি দাতাদের জমি দেওয়ার কথা তারা অবশ্য জানাচ্ছেন, জমির দাম কী হবে? কিভাবে জমি নেওয়া হবে? তার কোনও টাই এখনও জমি দাতারা জানেন না। ফলে তাদের পক্ষে মুশকিল জমি দেওয়ার ব্যবস্থা সম্পর্কে। এন এইচ এ আই'য়ের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এখানেই তো উচিত জনপ্রতিনিধিদের গিয়ে সাধারণ মানুষদের বোঝানো। রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব জানাচ্ছেন, "ধূপগুড়ি অংশে জমির সমস্যা মিটেছে। বাকি জায়গাতেও আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।"

Published by:Pooja Basu
First published:

Tags: National highway