হোম /খবর /কলকাতা /
নেই পঞ্জিকা, নেই বাংলা ক্যালেন্ডার... জৌলুসহীন, ম্লান এবারের বাংলা নববর্ষ

নেই পঞ্জিকা, নেই বাংলা ক্যালেন্ডার... জৌলুসহীন, ম্লান এবারের বাংলা নববর্ষ

  • Share this:

#কলকাতা: নববর্ষ কার্যত এবার পঞ্জিকা ও বাংলার ক্যালেন্ডার ছাড়াই কাটতে চলেছে। দেশ তথা রাজ্যজুড়ে করোনাভাইরাস এর জেরে লকডাউন চলার জন্য এবছর অন্তত পঞ্জিকা ছাড়াই কাটাতে হতে পারে। পঞ্জিকা ও বাংলা ক্যালেন্ডার ছাপা হয়ে গেলেও তা ক্রেতাদের কাছে পর্যন্ত পৌঁছানো গেল না। যাকে কেন্দ্র করে মাথায় হাত প্রকাশক ব্যবসায়ীদের। মূলত এই বাংলা নববর্ষকে লক্ষ্য রেখেই পঞ্জিকার জন্য প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করেন বেশ কয়েকজন প্রকাশক ব্যবসায়ী। কিন্তু সেইসব পঞ্জিকা গুলি এখন বস্তাবন্দি অবস্থায় প্রকাশকদের গোডাউনে পড়ে রয়েছে। একদিকে যেমন আপামর বাঙালি কে নববর্ষে পঞ্জিকা বাংলা ক্যালেন্ডার ছাড়াই কাটাতে হবে।তেমনি অন্যদিকে এই প্রকাশকেরা বুঝতে পারছেন না এই লোকসান সামলাবেন কি করে? মূলত নববর্ষের আগে থেকেই কলেজ স্ট্রিটের বই পাড়াতে পঞ্জিকা ও বাংলার ক্যালেন্ডার নেওয়ার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ছোট-বড় দোকানদাররা ভিড় জমান। এর পাশাপাশি অফিস ফেরত যাত্রীরাও বিভিন্ন দোকানে লাইনে দাঁড়িয়ে পঞ্জিকা কেনেন। কিন্তু এবারের লকডাউন ও করোনাভাইরাস কার্যত সেই ছবিটাই বদলে দিল। ব্যবসায়ীরা বলছেন যে পঞ্জিকা গুলো ইতিমধ্যেই ছাপা হয়ে গেছে কিন্তু বাজারে বিক্রি করা যায়নি লকডাউন ওঠার পর সেগুলো আদৈও কিনবেন ক্রেতারা? এখন সেটাই আশঙ্কার বিষয় প্রকাশক ব্যবসায়ীদের কাছে।

সাধারণত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ভরা মরশুম থাকে কলেজ স্ট্রিট এর বই পাড়ায়।এইসময় ছোট বড় বিভিন্ন বইয়ের দোকান বিক্রি করে থাকেন পঞ্জিকা। কলেজ স্ট্রিটের বিভিন্ন আনাচে-কানাচে এই সময় পাইকারি ধরে বিক্রি হয় বাংলার ক্যালেন্ডার। কারণ পয়লা বৈশাখে বিভিন্নন দোকানগুলিতে হালখাতা করতে যাওয়ার সময় বাংলার ক্যালেন্ডার টি অবশ্যই দেওয়া হয় দোকান গুলির তরফে। কিন্তু এবার চলছে লকডাউন।আর তাই দোকান গুলির হালখাতার সুযোগ নেই। ফলতো আগে থেকেই বাংলার ক্যালেন্ডার মজুত করে রাখলেও সেগুলি বিক্রি করার আর কোন উপায় নেই। লকডাউন উঠলেও সেই ভাবে বাংলার ক্যালেন্ডার বিক্রি হবে নাকি তা নিয়েও কোন নিশ্চয়তা নেই। তার জেরেই বই পাড়ার দোকানদাররাও লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে প্রকাশক ব্যবসায়ী জয়ন্ত বাকচী বলেন " আমরা সাধারণত অনেক আগে থেকেই পঞ্জিকা বাইরে পাঠাতে শুরু করি। এবছর কিছুটা পাঠানো গেলেও অনেক পঞ্জিকা ই বস্তা বন্দী হয়ে গুদামে পড়ে আছে। সেগুলো আগামী দিনে বিক্রি হবে নাকি তার কোন নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু এই লোকসান আমরা সামলাবো কি করে সেটা আমরা বুঝতে পারছি না।" একই বক্তব্য উঠে এসেছে  দেব সাহিত্য কুটির প্রকাশনা সংস্থার অধিকর্তা রুপা মজুমদার এরও। তিনি বলছেন " নববর্ষকে উপলক্ষ করে প্রত্যেকবারই আমাদের প্রচুর বাংলা ক্যালেন্ডার তৈরি হয়। সেগুলি ছাপার কাজ হয়ে গেলেও লকডাউন এর জেরে বাজারে বিক্রি করা গেল না। লোকসান কিভাবে সামলাবো আমরা এখনো ভেবে উঠতে পারিনি।"

Published by:Simli Raha
First published:

Tags: Bengali New Year, Coronavirus, Lockdown