#কলকাতা: আগামিকাল, মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে, ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’। রাজ্যের প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি ব্লকে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত সোমবার বাঁকুড়ার খাতড়ার প্রশাসনিক সভা থেকে ঘোষণা করেন এই প্রকল্প। সেই প্রকল্প এবার বাস্তবের মাটিতে পা রাখতে চলেছে ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিন থেকেই।
এই প্রকল্পে মোট ১০টি পরিষেবাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। যেগুলির সুযোগ-সুবিধা দিতে জনগণের কাছে পৌঁছে যাবে সরকার। ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের জন্যে যে ১০টি প্রকল্পকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা হল, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্র দান, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, ঐক্যশ্রী, জয় জোহর, তফশিলি বন্ধু, একশো দিনের কাজ। এই সব কটি প্রকল্প সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে যুক্ত রয়েছে। ফলে এই সব প্রকল্পগুলি সম্পর্কে অভাব-অভিযোগ শুনতে গ্রামীণ ও পুরসভা এলাকায় শিবির করবেন সরকারি বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা। আর জেলায় জেলায় সব প্রকল্পের প্রধান দায়িত্বে থাকবেন জেলাশাসক। মোট ৪ ভাগে হবে এই প্রকল্পের কাজ।
১ ডিসেম্বর থেকে ৩০ জানুয়ারি মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করা হবে। প্রথম ভাগের কাজ হবে ১ থেকে ১১ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় ভাগের কাজ হবে ১৫-২৪ ডিসেম্বর। তৃতীয় ভাগের কাজ হবে নতুন বছরের শুরুতে ২ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। চতুর্থ ভাগের কাজ হবে ১৮ থেকে ২৮ জানুয়ারি অবধি। প্রতিটি ওয়ার্ডে বসবে ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’-এর ক্যাম্প। মিলবে গ্রামীণ এলাকাতেও। ক্যাম্প বসবে স্কুল, কলেজ, কমিউনিটি হল, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কবে কোথায় ক্যাম্প বসবে তা আগে ভাগেই জানিয়ে দেওয়া হবে। সেই ক্যাম্পে গিয়ে মানুষ অভাব অভিযোগ জানাতে পারবেন। বিভিন্ন বিষয়ে আবেদন করতে পারবেন। সেই কাজ দ্রুত করে দেবেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, সরকারি পরিষেবা থেকে রাজ্যের কোনও মানুষ যাতে বঞ্চিত না হন সে বিষয়ে নিশ্চিত করা হবে। তবে শুধু গ্রামে নয়, শহরের মানুষও পাবে "দুয়ারে দুয়ারে সরকার" প্রকল্পের সুবিধা। পুর এলাকায় বাড়ির নকশা বা প্ল্যান অনুমোদন, পানীয় জলের সমস্যা মেটানো, মিউটেশন, সম্পত্তিকরের মূল্যায়ন সংক্রান্ত সমস্যা, জঞ্জাল সমস্যা মেটানো প্রতিটি মিলবে এই শিবির থেকেই।
আবীর ঘোষাল