#খড়্গপুর: ক্রমশ এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। রাজ্যজুড়ে নেওয়া হয়েছে যাবতীয় আপৎকালীন প্রস্তুতি। বিপর্যয় মোকাবিলায় চালু হয়েছে কন্ট্রোল রুম। নেওয়া হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ক্ষয়ক্ষতি হলে কী ভাবে তা মোকাবিলা করা হবে ও ত্রাণ ইত্যাদির ব্যবস্থাও শুরু হয়ে গিয়েছে জোর কদমে। এরইমধ্যে এবার ঘূর্ণিঝড় অশনি প্রসঙ্গে সরকারকে সতর্ক করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর শহরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বগদা এলাকায় চা-চক্র করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেইসময় সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
আরও পড়ুন : আপনি কি এইভাবে হাঁচেন? হাঁচির স্টাইলই চিনিয়ে দেবে আপনার ব্যক্তিত্ব! দেখে নিন কী ভাবে...
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, "আগেও সিপিএম আমলে পশ্চিমবাংলায় ঝড় হত, বন্যা হত। তাতে সরকারের লোকেদের লাভ হত। এখন সেটা আরও ব্যাপক আকারে হয়েছে। টাকা পৌঁছনোর আগেই অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। আমরা আমফানের সময় দেখেছি তৃণমূলের নেতাদের অ্যাকাউন্টে টাকা চলে গিয়েছে। সেখান থেকে মানুষের বিশ্বাসটাই চলে গিয়েছে সরকারের ওপর। ঝড়-বৃষ্টিতে যে মানুষরা ক্ষতিগ্রস্ত হন তাদের পাশে দাঁড়ানোটাই মানবিকতা। কিন্তু দেখা যায়, সরকারি টাকাও লুঠ হয়ে যায়। এ অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এর পরিবর্তন হওয়া উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে ভুল করে চলে গিয়েছে। এবার যেন সেই ভুল আর না হয়, এটা দেখতে হবে।"
রবীন্দ্রনাথের একশ একষট্টিতম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে নানা আয়োজনের মাঝেই নোবেল নিয়ে আক্ষেপের সুর শোনা যায় দিলীপ ঘোষের মুখে। তিনি বলেন, "নোবেল চুরি লজ্জার বিষয় নিঃসন্দেহে। একমাত্র বাঙালি হিসেবে গর্বের সঙ্গে নোবেল পেয়েছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেটা আমরা সামলে রাখতে পারিনি যা অত্যন্ত লজ্জার বিষয়।"
অন্যদিকে অর্জুন সিংকে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে না ডাকার ঘটনাতেও এদিন মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি জানি না কে বৈঠক ডেকেছে কাদের নিয়ে ডেকেছে। কাদের ডাকা হবে তা সরকারের পক্ষ থেকে ঠিক হয়। তিনি চাইলেই তাঁকে ডাকা হবে এমনটা নয়।
আগামী মাসে উত্তরবঙ্গের ভোট ঘোষণা হয়েছে সে ব্যাপারে সোমবার দিলীপ ঘোষ বলেন, "জিটিএ সফল হয়নি তাহলে আবার ভোট কীসের। জিটিএ-র জন্য এত আন্দোলন, এত মৃত্যু, এত অত্যাচার। সাধারণ মানুষ কী পেয়েছে? সবথেকে বেশি দুর্নীতি ওখানে হচ্ছে। যে উদ্দেশ্যে জিটিএ তৈরি হয়েছে সেটা যদি সমাধান না হয়। তাহলে জিটিএর ভোট হোক বা না হোক, কী যায় আসে। তাই এতদিন ভোট হয়নি।"
আরও পড়ুন : শহরজুড়ে হুড়মুড়িয়ে ভারী বৃষ্টি! দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যানজট, জলমগ্ন ব্যস্ত রাস্তাঘাট
অন্যদিকে খড়্গপুরের আইন-শৃংখলার ব্যাপারে মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, "খড়্গপুরে আইন-শৃংখলার পরিস্থিতি আবার খারাপ হচ্ছে। ছিনতাই, হার ছিনতাই ব্যাপক বেড়ে গিয়েছে। যে পুলিশ অফিসারদের এখানে পাঠানো হয়। তাদেরকে ইলেকশন জেতানোর জন্য পাঠানো হয়। অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সামলানোর জন্য নয়। অযোগ্য পুলিশ অফিসার থাকলে এমনই হবে। বহুবার এমন হয়েছে খড়্গপুরে। আমরা এর জন্য আন্দোলন করেছি। আবার আন্দোলন করব। এখানকার সাধারণ মানুষের উপরে যদি অত্যাচার হয়। আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে তাহলে আমরা রাস্তায় নামবো। খুব তাড়াতাড়ি থানা ঘেরাও করব। আমি আশা করি এখানকার পুলিশ অফিসার যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখবে।"
প্রতিবেদন : শঙ্কর রাই
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bengal BJP, Dilip Ghosh, TMC