#কলকাতা: সম্ভাবনা ছিলই৷ শেষ পর্যন্ত বিরোধীদের দাবিতে কার্যত সিলমোহর দিয়েই পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪টি আসনের জন্য আট দফায় ভোট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন৷ রাজ্যে ২৭ মার্চ থেকে জঙ্গলমহলের তিন জেলা এবং পূর্ব মেদিনীপুরকে দিয়ে ভোট শুরু হচ্ছে৷ সবথেকে লক্ষ্যণীয় বিষয়, শুধু মাত্র দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার ৩১টি আসনেই তিন দফায় ভোট হচ্ছে৷ যে জেলা আবার রাজ্যের শাসক দলের শক্ত ঘাঁটি৷ আবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের জেলাতেও একসঙ্গে ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ বীরভূমের মতো যে জেলা নিয়ে বিরোধীদের এত অভিযোগ, সেখানেও ভোট হচ্ছে একদিনেই৷ আবার কলকাতার ভোট হচ্ছে দু' দিনে৷ একনজরে দেখে নেওয়া যাক রাজ্যে কবে, কোন দফায় কোথায় নির্বাচন হতে চলেছে-
প্রথম দফা, ২৭ মার্চ- পুরুলিয়া (আংশিক), ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া (আংশিক), পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুরের একাংশ৷ ৩০টি বিধানসভা আসনে ভোট গ্রহণ৷
দ্বিতীয় দফা, ১ এপ্রিল- বাঁকুড়া , পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বাকি অংশ এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার একাংশ৷ ৩০ আসনে ভোট গ্রহণ৷
তৃতীয় দফা, ৬ এপ্রিল- হাওড়া(আংশিক), হুগলি(আংশিক), দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা (আংশিক)৷ ৩১ আসনে ভোট গ্রহণ৷
চতুর্থ দফা, ১০ এপ্রিল- হাওড়া(আংশিক), হুগলি(আংশিক), দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বাকি অংশ, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার৷ ৪৪ আসনে ভোট গ্রহণ৷
পঞ্চম দফা, ১৭ এপ্রিল- উত্তর চব্বিশ পরগণা (আংশিক) , নদিয়া (আংশিক), পূর্ব বর্ধমান (আংশিক), দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি৷ ৪৫ আসনে ভোট গ্রহণ৷
ষষ্ঠ দফা, ২২ এপ্রিল- উত্তর চব্বিশ পরগণা (আংশিক), নদিয়া (আংশিক), পূর্ব বর্ধমান(আংশিক) এবং উত্তর দিনাজপুর৷ ৪৩ আসনে ভোট গ্রহণ৷
সপ্তম দফা, ২৬ এপ্রিল- মালদহ (আংশিক), মুর্শিদাবাদ (আংশিক), পশ্চিম বর্ধমান, কলকাতা দক্ষিণ, দক্ষিণ দিনাজপুর৷ ৩৬ আসনে ভোট গ্রহণ৷
অষ্টম দফা, ২৯ এপ্রিল- মালদহ (আংশিক), মুর্শিদাবাদ (আংশিক), বীরভূম, উত্তর কলকাতা৷ ৩৫ আসনে ভোটগ্রহণ৷
স্বভাবতই এই নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর প্রশ্ন উঠছে, তবে কি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগকে মেনে নিয়েই আট দফায় ভোট ঘোষণা করল কমিশন? কারণ তামিলনাড়ুতে ২৩৪টি আসনে এক দিনেই ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন৷ সেখানে বাংলায় ভোট হচ্ছে আট দফায়৷ ফল ঘোষণা আগামী ২ মে৷