#কলকাতা: ২০১৯ সালের ব্রিগেড কাঁপিয়েছিলে তিনি। আজ সভামঞ্চে সবার শেষ বক্তা আরও একবার প্রমাণ করলেন নিজেকে। দেবলীনা হেমব্রম ঝড় তুললেন বেলাশেষে। জনসমুদ্র থেকে দেবলীনার রণহুঙ্কার, "ঝড় উঠেছে, সেই ঝড়টাকে আমাদের রাখতে হবে। সেই কারণে মিলিত হয়েছি। দেশ বিক্রির বিরুদ্ধে রাজ্যে গণতন্ত্র ফেরাতে লড়ব।"
এদিন দেবলীনার নিশানা ছিল রাজ্য কেন্দ্র দুই শাসকদলকে কেন্দ্র করেই। দ্ব্যার্থহীন দেবলীনা সুর সপ্তমে নিয়ে এই দুই দলকে পরস্পরের পরিপূরক বলে দাবি করে বললেন, শুধু বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়া আর তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসাই প্রত্যক্ষ করছেন তিনি।
এল কৃষক প্রসঙ্গ। দেবলীনা তৃণমূলকে তুলনা করলেন মেঠো ইঁদুরের সঙ্গে। তাঁর ব্যখ্যা, "চাষীরা আজ ন্যয্য ফসলের দাম পাচ্ছেন না। অঘ্রাণে ধান পাকে, ইঁদুর সেই ধান কাটে। তৃণমূল তেমনই।" দেবলীনার কাটমানি উবাচ- "ভোটে জিতলে কাটমানি, বিধবা ভাতা কৃষক ভাতা কেটে কেটে পকেটে ঢোকাবেন।"
দেবলীনা এদিন রাখঢাক না রেখেই বলেন, "বিজেপি ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি করছে। এর বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার ডাক দিয়ে তিনি বললেন, আমাদের রক্ত লাল, আমাদের সবার একসঙ্গে লড়তে হবে। সবার দরকারগুলি একই।" মমতাকে বিজেপি-বন্ধু দেগে দিয়ে দেবলীনা যুক্তি দিচ্ছেন, মমতার দল আমজনতাকে বিভ্রান্ত করছে। তাঁর কথায়, "আমাদের বিভ্রান্ত করছে, বলছে আমরাই রুখতে পারব বিজেপিকে। বিজেপির সঙ্গে ঘর করেছে, ভুলি নাই সেটা।"
এস বিজেপির লাঞ্চ পলিটিক্স প্রসঙ্গ। গ্রামগঞ্জের মানুষের মাছধরার সঙ্গে তুলনা করে তিনি বললেন, বিজেপি টোপ খাওয়াচ্ছে আদিবাসী দলিতদের। সোনার বাংলার আশ্বাসকে কটাক্ষ করে দেবলীনা মনে করাতে চাইলেন- ত্রিপুরা উত্তর প্রদেশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী।
তৃণমূল নেত্রী সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, "মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন বদলা নয় বদল চাই। গোটাটাই ছিল লোকদেখানো। সিঙ্গাপুর সম্মেলন করছেন আমাদের টাকা নিয়ে। পশ্চিম বাংলার মানুষকে শিল্প হলে কাজের সন্ধানে বাইরে যেতে হত না। শিক্ষিত বেকারদের পিষিয়ে দিয়েছে ওঁরা।"
গতবারও ঝড় তুলেছিলেন দেবলীনা হেমব্রম। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে বামের ভোট অনেকটাই গিয়েছিল রামে। আজ দেবলীনা অন্তত নিজেকে আরও একবার প্রমাণ করলেন। বামেরা কি পারবে?