#কলকাতা: বুধবার রাজ্যের চিকিৎসক মহলের কাছে আরও একটা শোকের দিন। গতকাল মৃত্যু হয়েছে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তনী দেবাশিস সামন্তর। একমাস ধরে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
সপ্তাহ খানেক ধরে তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হতে থাকে। বুধবার ভোর রাতে চিকিৎসকদের সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৬। আর জি কর হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করে তিনি অর্থোপেডিক সার্জারিতে এম ডি করেন। ছাত্রজীবন থেকেই সহপাঠীদের মধ্যে এবং পরবর্তীকালে রাজ্যের চিকিৎসক মহলে জনপ্রিয় ছিলেন দেবাশিস সামন্ত।
গত লোকসভা নির্বাচনের আগে চিকিৎসক দেবাশিস সামন্ত বিজেপিতে যোগ দেন। আর তারপরই অপ্রত্যাশিতভাবে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে লোকসভা ভোটের প্রার্থীপদ পান। নির্বাচনে পরাস্ত হলেও বিজেপির মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পরবর্তীতে কাজ চালিয়ে যান। পূর্ব মেদিনীপুরে অর্থোপেডিক সার্জন হিসাবে তাঁর যথেষ্টই নাম ছিল। গোটা লকডাউনের সময় তিনি সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যান। এরপরই মাস খানেক আগে তিনি করোনা আক্রান্ত হন।
রাজ্যে নভেল করোনা ভাইরাসের দাপট শুরু হওয়ার পর থেকেই চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের একটা বড়ো অংশই সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে লড়াই চালায়। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৪২ জন চিকিৎসকের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। তবু লড়াই চলছে মরণপণ।
ডক্টরস ফর পেশেন্টস বা ডোপা, ওয়েষ্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম, সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম, অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিসেস ডক্টরস, শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ সহ বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে চিকিৎসক দেবাশিস সামন্তের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। ডক্টরস ফর পেশেন্টস বা ডোপার পক্ষ থেকে চিকিৎসক শারদ্বত মুখোপাধ্যায় জানান, 'এই শোক প্রকাশের ভাষা নেই। একে একে অনেক করোনা যোদ্ধা চিকিৎসকই আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। এদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য। চিকিৎসক নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের আরো অনেক সতর্ক হয়ে কাজ করতে হবে। চিকিৎসক-নার্স স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা আক্রান্ত হলে তাদের জন্য সরকারি,বেসরকারি হাসপাতালে আলাদা বিশেষ বেডের ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে। চিকিৎসকদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা উচিত সরকারের।'
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Covid ১৯