কলকাতা: এ বার দিল্লী সিবিআই স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ জলপাইগুড়িতে সরকারি হোমে নাবালকের রহস্য মৃত্যুতে তদন্ত শুরু করল। সিবিআইয়ের তরফে এফআইআর করে তদন্ত শুরু করা হল। জলপাইগুড়ি সরকারি হোমে কিশোরের রহস্যজনক মৃত্যু মামলায় এ বার দিল্লীর সিবিআই স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ জোন ওয়ানের তরফে এফআইআর করা হল।
এফআইআরে রয়েছে জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার একাধিক অফিসার, সরকারি হোমের একাধিক অধিকারিক। এদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনা, প্রমাণ লোপাট, ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল তথ্য পেশ-সহ একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ , ২০১, ১৯৫, জুভেনাইল জাস্টিস ও ৭৫ ধারায় মামলা। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ২৪ অগাস্ট মাদক মামলায় ১৭ বছরে কিশোরকে গ্রেফতার করে জলপাইগুড়ির কোতয়ালি থানার আধিকারিকরা। কোচবিহারের একটি হোমে ওই নাবালককে পাঠানো হয়।
এরপর ওই হোমে নাবালককে পাঠানোর পর ২০২২ সালে ১৫ ডিসেম্বর ওই কিশোরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি ছিল, আত্মহত্যা করেছে ওই নাবালক। কিন্তু মৃতের পরিবারের দাবি, ওই নাবালক আত্মহত্যা করতে পারে না। তাঁকে আত্মহত্যার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে।
এমনকী প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়। এরপর হাই কোর্টে ওই মামলা হয়। কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ নির্দেশে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হয়। এ বার সিবিআই তরফে এফআইআর করা হল ও তদন্ত শুরু হল। এফআইআরে রয়েছে অজ্ঞাত পরিচয় পুলিশ অফিসার ও সরকারি হোমের একাধিক অধিকারিক-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
সিবিআই এফআইআরে থাকা অভিযুক্তদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হবে। ওই সরকারি হোমের নজরদারি এড়িয়ে কী ভাবে নাবালকের মৃত্যু? হোমের ভূমিকা কী ছিল? পুলিশের ভূমিকা কী ছিল? পুলিশ তদন্তে নেমে কাদের বয়ান রেকর্ড করেছে? কেন তদন্ত আগেই বলা হল আত্মহত্যা? সেই সব বিষয়ে জানতে চায় সিবিআই। আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনও রহস্য তদন্তে সিবিআই।
ARPITA HAZRA
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: CBI