#কলকাতা: কলকাতা এয়ারপোর্ট এলাকায় অভিনব কায়দায় সোনা পাচার করতে গিয়ে কাস্টমসের হাতে ধৃত এক বাংলাদেশী। শার্ট এবং প্যান্টের ভিতর দুটি লেয়ারের মধ্যে আড়ালকরে সোনার পেস্ট নিয়ে পাচার করছিলেন বলে অভিযোগ শুল্ক দফতরের । শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, ওই অভিযুক্ত দুবাই থেকে ঢাকা হয়ে দিল্লী হয়ে কলকাতা এয়ারপোর্ট আসছিলেন। তখনই সন্দেহ হয় শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের। তাঁরা সার্চ করতে ওই ব্যক্তির শার্ট ও প্যান্ট-এর ওজন ভারী লাগে। তখনই শুল্ক দফতর ওই জামা ও প্যান্ট নিয়ে পরীক্ষা করতে থাকেন।
কাস্টমস সূত্রে খবর, দেখা যায় জামা ও প্যান্ট কাটতেই দুটি লেয়ারের মাঝে রয়েছে সোনা পেস্ট। নীল রংয়ের শার্ট ও ধূসর রঙের প্যান্টের মধ্যে সোনা পেস্ট বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে রয়েছে। ২৪ ক্যারটের সোনা ৬৪৬ গ্রাম উদ্ধার করেছেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। যার বাজার মূল্য ৩২ লক্ষ ৩১ হাজার ৫২২ টাকা।
আরও পড়ুন - ফিরছে স্মৃতি! কলকাতায় ফের পাওয়া যাবে বাজাজ চেতক, মাত্র ২ হাজারে শুরু হচ্ছে বুকিং
শহরে একের পর এক সোনা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেই চলেছে। কখনও বৌবাজার, কখনও হাওড়া ব্রিজ, কখনও এয়ারপোর্ট। সোনা পাচারকারীদের চক্র চেনের মতো কাজ করছে বলে দাবি কাস্টমস বিভাগের। এই সোনা বিদেশ থেকে এনে পাচার করার উদ্দেশ্যে আনা হয়েছিল। তবে উল্লেখযোগ্য, শার্ট ও প্যান্টের দুটি লেয়ারের মাঝে সোনা পেস্ট নিয়ে এসে পাচার করছিলেন পাচারকারী। যাতে কেউ সন্দেহ না করে তাই এই অভিনব কায়দা।
আরও পড়ুন - যেন দানবের ডাক, ভূতুড়ে আর্তনাদ! নাসার প্রকাশ করা ব্ল্যাক হোলের শব্দ হাড়হিম করবে, শুনুন
সাধারণত শরীরে ভিতর লুকিয়ে আনলে সোনা তা স্ক্যানার মাধ্যমে ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার ব্যাগ বা জামার পকেটে বা ট্রলিতে লুকিয়ে আনলেও ধরা পড়ার সুযোগ থাকে। সেই কারণেই এই অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন পাচারকারীর। শার্ট বা প্যান্টের দুটো লেয়ার করে তার মধ্যে সোনা গলিয়ে পেস্ট করে লেয়ারের ভিতর আটকে নিয়ে এসে পাচার করলে চট করে ধরা পড়া মুশকিল। কিন্তু শুল্ক দফতরের এয়ারপোর্টর দুঁদে গোয়েন্দারা ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির হাবভাব দেখেই সন্দেহ হয়। তখনই সার্চ করতে গিয়ে বোঝা যায় শার্ট ও প্যান্ট অনেক ওজন ভারী।
ARPITA HAZRA
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Smuggling