#নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় একদিকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে যেমন রিপোর্ট তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এবার এ বিষয়ে হাইকোর্টে চরম চাপের মুখে পড়ল রাজ্য সরকার। এদিন হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, প্রতিটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এফআইআর করতে হবে। NHRC-র কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে FIR-গুলি করতে হবে। শুধু তাই নয়, ভুক্তভোগী প্রত্যেকের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
এদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করতে গিয়ে যাদবপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের আক্রান্ত হওয়ার যে অভিযোগ উঠেছিল, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির বেঞ্চ ওই ঘটনায় পুলিশ-কর্তা রশিদ মুনির খানকে শোকজ করেছেন। ওই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তার কৈফিয়তও তলব করেছে আদালত।
এদিন হাইকোর্ট ভোট পরিবর্তী হিংসায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশদিয়েছে। একইসঙ্গে তাঁদের জন্য রেশনের ব্যবস্থাও করতে হবে বলে জানিয়েছে বিচারপতিদের বেঞ্চ। হাইকোর্টের নির্দেশ, আক্রান্তদের যদি রেশন কার্ড হারিয়েও গিয়ে থাকে, তাহলেও তাঁদের রেশন দিতে হবে। রাজ্যের কাছে থাকা সব অভিযোগের নথি কমিটিকে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, হিংসা সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিবকে। একই সঙ্গে কাঁকুড়গাছির নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশও দিয়েছে আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশের পর বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'আমরা যা অভিযোগ করছিলাম, সেই অভিযোগেরই মান্যতা দিল কোর্ট। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ পুড়ল।' যদিও তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, 'হাইকোর্ট নির্দেশ দিতেই পারে। কিন্তু যাদবপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লাঠি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর রাজ্যে কোনও হিংসা হয়নি।'
এদিকে, নির্বাচন পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একটি মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী বিষ্ণু জৈন। সেখানেও আবেদন করা হয়, বাংলায় নির্বাচন-পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্তের জন্য আদালতের নজরদারিতে 'বিশেষ তদন্তকারী দল'(সিট) গঠন করা হোক। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছে আদালত। শুধু তাই নয়, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আর্জিও জানানো হয় এই মামলায়। বৃহস্পতিবার মামলাটি গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission), কেন্দ্রীয় সরকার (Centre Govt)এবং রাজ্য সরকারকে (WB Govt)।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।