হোম /খবর /কলকাতা /
শিয়ালদহ-হাওড়া থেকে ঢুকবে মিছিল, আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে কাল SFI-এর জোড়া কর্মসূচি

SFI|CPIM|| শিয়ালদহ-হাওড়া থেকে ঢুকবে বিরাট মিছিল, আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে শুক্রবার এসএফআইয়ের জোড়া কর্মসূচি

জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা এসএফআইয়ের

জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা এসএফআইয়ের

SFI protest rally : ১০ মার্চ  বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছে এসএফআইয়ের রাজ্য কমিটি। ওই একই দিনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা তাঁদের প্রাপ্য বকেয়া মহার্ঘ্যভাতা আদায়ের লক্ষ্যে ধর্মঘট ডেকেছেন। তাঁদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না যাওয়ার ডাকও দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন...
  • Share this:

কলকাতাঃ শাসক দলকে ঘিরতে একদিনে জোড়া কর্মসূচি নিল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। আগামিকাল শুক্রবার ১০ মার্চ বিধানসভা অভিযানের পাশাপাশি এ দিন ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।  'ছাত্র ফেরাও, স্কুল বাঁচাও। ছাত্রভোট ফেরাও, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও', এই স্লোগানকে সামনে রেখে ১০ মার্চ  বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছে এসএফআইয়ের রাজ্য কমিটি।

বুধবার সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন। ওই একই দিনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা তাঁদের প্রাপ্য বকেয়া মহার্ঘ্যভাতা আদায়ের লক্ষ্যে ধর্মঘট ডেকেছেন। তাঁদের দাবিকেও যথার্থ বলে মনে করে। এবং তাঁদের লড়াইয়ের প্রতি সংহতি জানিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না যাওয়ার ডাকও দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ রঙের উৎসবে শামিল সুজন চক্রবর্তী, লাল আবীরে রাঙিয়ে দিলেন ছোট-বড় সকলকে

সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, "১০ মার্চ বেলা ১২টার সময়ে শিয়ালদহ এবং হাওড়া স্টেশন থেকে দুটি ছাত্র মিছিল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা অভিমুখে যাবে। আমরা বিধানসভার মাননীয় অধ্যক্ষ ও রাজ্যের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাই। রাজ্যের ছাত্রসমাজের দাবিদাওয়া তাঁদের সামনে তুলে ধরতে চাই। একইসঙ্গে রাজ্যের সমগ্র ছাত্রের কাছে ওইদিন নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। অবশ্যই পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী কোনও পরীক্ষা থাকলে তা এই আবেদনের আওতার বাইরে থাকছে। আমরা রাজ্যের ছাত্রসমাজকে আগামী ১০ মার্চ বিধানসভা অভিযানে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।"

এসএফআইয়ের অভিযোগ, "রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা কার্যত ধ্বংসের মুখে। ৮,২০৭ প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিক বিদ্যালয় স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। মাধ্যমিকে গত বছরের তুলনায় ৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী কমেছে। পাশাপাশি, শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, বেনিয়ম সরকারি সর্বোচ্চ স্তরের মদতে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। টিউশন ও হস্টেল ফি বৃদ্ধি সহ পড়াশোনার খরচ কয়েকগুণ বেড়েছে। স্কলারশিপ, মিড-ডে মিল সহ সব জায়গাতেই বেনিয়মই নিয়মে পরিণত। ভেঙে পড়া শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল নেই। গোটা বিষয়টাতেই রাজ্য প্রশাসনে চরম ঔদাসীন্য প্রকট।"

সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, "রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিগত ৬ বছর রাজ্যের বিপুল অংশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনও ছাত্রসংসদ নির্বাচন হয়নি। স্বাভাবিক কারণেই ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ছাত্রছাত্রীদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরার, ছাত্রছাত্রীদের দৈনন্দিন দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলার কোনও পরিসর নেই। নির্বাচন না করে দখল করা ছাত্রসংসদের নামে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বেলাগাম লুঠপাট, দুর্নীতি চালাচ্ছে। সামগ্রিক এই পরিস্থিতি রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার পক্ষে আশঙ্কাজনক।

UJJAL ROY

Published by:Shubhagata Dey
First published:

Tags: Cpim, SFI